অতিরিক্ত রান কারও জন্য পৌষমাস, কারও সর্বনাশ। ভারতের ক্ষেত্রে যেন সর্বনাশ হয়েই দাঁড়াল। ফিল্ডিং টিমের কাছে সবসময়ই অস্বস্তির হয়ে দাঁড়ায় অতিরিক্ত রান। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নো-বল মানেই এক্সট্রা বল, ফ্রি-হিট। সব মিলিয়ে অনেকটাই ক্ষতি। ওয়াইড, ওভার থ্রো, বাই রানের ক্ষেত্রে। ফিল্ডিং টিমের ক্ষতি হলেও ব্যাটিং টিমের লাভ। টেস্টে ফ্রি-হিট না থাকলেও প্রভাব ফেলে অতিরিক্ত রান। ওয়াংখেড়েতেও ফেলেছে। বিষয়টা আরও একটু ভালো করে দেখা যাক।
প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ২৩৫ রানেই অলআউট করেছিল ভারত। কিন্তু এর মধ্যে অস্বস্তি ছিল ৯টি নো বল! পেসারদের ক্ষেত্রে নো-বল কমন ব্যাপার। স্পিনারদের থেকেও যদি এমনটা হয়? প্রথম ইনিংসে পেসার আকাশদীপ একটি নো বল করেছেন। দুই স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর ও রবীন্দ্র জাডেজা নো-বল করেছেন যথাক্রমে ৫ ও ৩ টি। যা দেখে অন এয়ারেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। প্রথম ইনিংসে ১৩ রান এসেছে এক্সট্রা। সেখানে নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংসে এক্সট্রা রান দিয়েছে ৩। এর মধ্যে দুটি নো বল। ৭টি নো-বলের পার্থক্য কম নয়।
দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড অলআউট ১৭৪ রানে। এই ইনিংসে একমাত্র নো বল করেন রবীন্দ্র জাডেজা। তবে বাই থেকে এসেছে ১২ রান। সব মিলিয়ে ১৭ রান এক্সট্রা। সেখানে নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে একটিও নো বল করেনি। বাই রান এসেছে ১২। সেটি কিপারের কারণে। তবে দু-ইনিংস মিলিয়ে ১০টি নো বল, টেস্টেও এর প্রভাব পড়ে। ব্যাটার মানসিক ভাবে এগিয়ে থাকে। তার সুযোগও নেয়।