ডাচদের বিরুদ্ধে আগামিকাল ইডেনে নামতে চলেছে নড়বড়ে বাংলাদেশ (Bangladesh)। চলতি বিশ্বকাপে (ICC World Cup) সাকিব আল হাসানের দলের অবস্থা শোচনীয়। টানা ৪ ম্যাচ হেরে ব্যকফুটে বাংলাদেশ। চলতি বিশ্বকাপে একমাত্র আফগানিস্তানকে ছাড়া আর কোনও দলকেই হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ইডেনে নামবে টাইগার্সরা। সাকিব আল হাসানদের নজর ডাচদের হারিয়ে ২ পয়েন্ট তুলে নেওয়া। এই ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশের তারকা বোলার তাসকিন আহমেদ দলের পরিস্থিতি, আগামী পরিকল্পনা এবং আরও অনেক কিছু নিয়েই জানালেন। তিনি প্রেস কনফারেন্সে যা বললেন তার বিস্তারিত রইল নিম্নে। জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
দলের ছন্দ নিয়ে
বিশ্বকাপে আশা অনুযায়ী পারফরম্যান্স হয়নি। সেরাটা দিয়ে ঘুরে দাঁড়াব। তা ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। ত্রুটি শুধরে জেতার চেষ্টা করব। সমালোচনা সহ্য করা আমাদের অভ্যেস হয়ে গিয়েছে। পেস বোলিং আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। তবে বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্স সেই ভাবে নজর কাড়েনি। আমরা ভালো না খেললে জেতা মুশকিল। ভালো কিছু করতে হবে।
এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি
ইডেনে বেশি খেলার সুযোগ পাইনি বলে আফসোস আছে। আমরা ভারতে খেলতে ভালোবাসি। আমি আগেও এখানে খেলেছি। ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে খেলেছি। কিন্তু এখানে আরও বেশি খেলতে চাই। বোলারদের খুব বেশি কিছু করার নেই। বেশিরভাগ ভেনুতেই ব্যাটিং পিচ। আমরা প্রথমে বল করতে চাই। সাফল্য পাওয়ার জন্য আমাদের দক্ষতা বদল করতে হবে। এখনও সব শেষ হয়ে যায়নি। হাতে এখনও ৪টি ম্য়াচ রয়েছে। যে কোনও কিছু হতে পারে। আমাদের প্রতিটা ম্যাচ ধরে ধরে এগোনোর পরিকল্পনা রয়েছে।
সাকিবের ভূমিকা
টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে অনুমতি দিয়েছিল বলেই ও দেশে ফিরেছিল। কলকাতা থেকে কাছে থাকায় দেশে গিয়েছিল। ক্রিকেটের জন্যই অবশ্য গিয়েছিল। তাই সমালোচনা না করে বরং প্রশংসা করা উচিত। বিশ্রামের দিন এতটা সফর করে ৪ ঘণ্টা প্র্যাক্টিস করেছে ওখানে। আগামী ৪টে ম্যাচের মধ্যে কালকের ম্যাচে মূল ফোকাস রয়েছে।
কাঁধে চোট
চোট ম্যানেজ করেই আমি খেলছি। ডান কাঁধে টিয়ার আছে। ব্যথা নিয়েই খেলছি। অবশ্য এখন ভালো আছি। কিন্তু সার্জারি শেষ বিকল্প। আমি ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করব।
প্রতিপক্ষ নিয়ে
নেদারল্যান্ডস দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে। প্রতিপক্ষ নিয়ে আগাম কিছু বলা যায় না। আশা করব ঘুরে দাঁড়াব আমরা। ভালো খেলব। নেদারল্যান্ডস জায়ান্ট কিলার। ম্যাচটা কঠিন হতেই পারে। হেরে গেলে প্রতিটা ম্যাচই কঠিন হয়। জেতার মানসিকতা বজায় রাখতে হবে। জিততে চাই শুধু বললে হবে না। ফোকাস বজায় রেখে সেটা কাজে করে দেখাতে হবে। প্রত্যাশা অনুযায়ী দল ভালো পারফর্ম করছে না। ব্যাটিং সহায়ক পিচ হওয়ায়, যাদের ব্যাটিং বিভাগ শক্তিশালী তারা সুবিধে পাচ্ছে। আমাদের সেইভাবে বড় ইনিংস হয়নি। সেটা হওয়া খুব দরকার।
শিশির কি ফ্যাক্টর হবে?
এক একটা ভেনুতে এক এক রকম পরিস্থিতি। শিশির পড়লে বল গ্রিপ করতে সমস্যা হয়। তবে পরিস্থিতিত যাই হোক আমাদের জিততে হবে। টস ফ্যাক্টর হয় এক এক জায়গায়। কাল এখানে প্রথম খেলব। দেখা যাক কী হয়। কলকাতা খেলার জন্য় দারুণ জায়গা।