ODI Cricket: লজ্জার রেকর্ডে শীর্ষ দশে শ্রীলঙ্কা দু-বার!
Top 10 Lowest Score in ODI: অষ্টম ও নবম স্থানে রয়েছে কানাডা এবং নামিবিয়া। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪০ ওভারের বেশি ব্যাট করে ৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল কানাডা। অন্য দিকে, ২০০৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪৫ রানে অলআউট হয় নামিবিয়া। ৩০২ রান তাড়ায় ১৪ ওভারে শেষ নামিবিয়ার ইনিংস। অজি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা ১৫ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন। তালিকায় দশম স্থানে এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
Image Credit source: twitter
Follow Us
কলম্বো: ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। বহু ব্যবহারে ক্লিশে প্রবাদ। বারবার ব্যবহার না করেও পারা যায় না। এশিয়া কাপ ফাইনালের আগে নানা রকমের ছবি যেন চোখের সামনে ঘুরছিল। গত বারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে একের পর এক তুখোড় পারফরম্যান্স। টানা ১৩টি ওডিআই জয়ের রেকর্ড। সুপার ফোর পর্বেও অনবদ্য পারফর্ম করেছে ভারতের বিরুদ্ধে। দুনিত ওয়াল্লাগের পাঁচ উইকেটে প্রবল চাপে ছিল টিম ইন্ডিয়াই। শেষ অবধি রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। ফাইনালেও একটা সমানে সমানে ম্যাচের প্রত্যাশা ছিল। হল পুরো উল্টো। ভারতের এক পেশে জয়ে লজ্জার রেকর্ড শ্রীলঙ্কার। মাত্র ৫০ রানেই অলআউট তারা। ওডিআই ক্রিকেটে সর্বনিম্ন স্কোরের ক্ষেত্রে দু-বার রয়েছে শ্রীলঙ্কার নাম। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জার রেকর্ড
ওডিআই ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রানের রেকর্ড জিম্বাবোয়ের দখলে। ২০০৪ সালে ঘরের মাঠে মাত্র ৩৫ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবোয়ে। প্রথমে ব্যাট করেছিল তারা। ১৮ ওভারেই ইনিংস শেষ। জিম্বাবোয়ের কোনও ব্যাটারই দু-অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। শ্রীলঙ্কার বাঁ হাতি পেসার চামিন্ডা ভাস ৯ ওভারে ৪টি মেডেন ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। তিন বছর আগে নেপালের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ৩৫ রানেই অলআউট হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১২ ওভারেই।
এরপরই রয়েছে কানাডা। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ১৮.৪ ওভারে ৩৬ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। ২০০৩ ওডিআই বিশ্বকাপের ম্যাচ এটি। শ্রীলঙ্কার প্রভাত নিশাঙ্ক ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। চামিন্ডা ভাসের দখলে ছিল ৩ উইকেট।
সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় বেশ কয়েক বার রয়েছে জিম্বাবোয়ে। প্রথম পাঁচেই দু-বার রয়েছে তারা। ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৩৮ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবোয়ে।
ওডিআই ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন স্কোর ৪৩। ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩০২ রান তাড়া করতে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। মাত্র ২০.১ ওভারে ৪৩ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। প্রোটিয়া পেস বোলিং অলরাউন্ডার মর্নি মরকেল ৬ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।
একই স্কোরে লজ্জার রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানেরও। ১৯৯৩ সালে টোটাল ইন্টারন্যাশনাল সিরিজে কেপ টাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ৪৩ রানে অলআউট পাকিস্তান। তাদের ইনিংসে ৬টি ০। মাত্র ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন কিংবদন্তি পেসার কোর্টনি ওয়ালশ।
তালিকায় সপ্তমে ফের জিম্বাবোয়ে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের মাটিতে ৪৪ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবোয়ে। ম্যাচটি হয়েছিল চট্টগ্রামে।
অষ্টম ও নবম স্থানে রয়েছে কানাডা এবং নামিবিয়া। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪০ ওভারের বেশি ব্যাট করে ৪৫ রানে অলআউট হয়েছিল কানাডা। অন্য দিকে, ২০০৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪৫ রানে অলআউট হয় নামিবিয়া। ৩০২ রান তাড়ায় ১৪ ওভারে শেষ নামিবিয়ার ইনিংস। অজি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা ১৫ রান দিয়ে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন।
তালিকায় দশম স্থানে এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার ইনিংস। মহম্মদ সিরাজের আগুনে বোলিংয়ে মাত্র ৫০ রানেই অলআউট শ্রীলঙ্কা। ভারতের বিরুদ্ধে এটিই তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। সব মিলিয়ে তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।