দ্বিতীয় দিন থেকেই ব্যাট-প্যাড পরে রেডি ছিলেন বিরাট কোহলি। প্রথম ইনিংসে বাউন্সারে উইকেট খুঁইয়েছিলেন। দ্বিতীয় দিন তাঁর নামার প্রয়োজন পড়েনি। তবে দিনের খেলা শেষেই মাঠে নেমে প্র্যাক্টিস করেছিলেন। তৃতীয় দিন ২৭৫-১ স্কোরে লাঞ্চে গিয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল ও দেবদত্ত পাড়িক্কল। ভারতের লিড অনেক। ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি। ক্যামেরা বারবার ফোকাস করছিল ডাগআউটে বিরাট কোহলির দিকে। লাঞ্চ বিরতির পর প্রথম বলেই আউট দেবদত্ত পাড়িক্কল। গ্যালারির যেন তাতে কোনও হতাশা নেই। তার কারণ, বিরাট কোহলির প্রবেশ।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বিরাট বরাবরই সফল। তবে গত এক বছর তাঁর ফর্ম। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ক্লিনসুইপ। চার সুপারস্টার প্রবল চাপে। এর মধ্যে রোহিত শর্মা আজ অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছবেন। অ্যাডিলেডে দিন-রাতের ম্যাচ থেকে পাওয়া যাবে। পারথের একাদশে জায়গা হয়নি রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাডেজার। আর সুপারস্টারদের প্রধান মুখ বিরাট কোহলি প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ।
বিরাট ক্রিজে নামতেই গ্যালারির রং বদলে গেল। সকলে নড়েচড়ে বসলেন। এক প্রান্তে সেট ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল। যিনি কিছুক্ষণ আগেই ভারতের দ্বিতীয় কনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরি করেছেন। ক্রমশ আরও বড় ইনিংসের দিকে। অন্য দিকে, বর্তমান প্রজন্মের সেরা ব্যাটার। বিরাট কোহলি ক্রিজে আসতেই মিচেল স্টার্ককে আক্রমণে আনেন প্যাট কামিন্স। এখনও অবধি পিচ ব্যাটারদের জন্য ভালো বলা যায়। বিরাটের ব্যাটিংয়ে বাড়তি নজর। তাঁর উইকেটই লক্ষ্য অজি শিবিরের।