বক্সিং ডে টেস্টের উন্মাদনা তুঙ্গে। মেলবোর্নে মুখোমুখি ভারত-অস্ট্রেলিয়া। দিনের প্রথম সেশনে অনেকটা অ্যাডভান্টেজে ছিল অস্ট্রেলিয়া। লাঞ্চের পর কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ায় ভারতীয় বোলিং। যদিও আরও চিন্তা ঘুরছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দুই শিবিরেই। প্রথম সেশনে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় বিরাট কোহলি ও স্যাম কন্টাসের। শুধু তাই নয়, কাঁধে কাঁধও লাগে। আইসিসি ম্যাচ রেফারি তাতে নজর রাখছেন, এমনটাই দাবি অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের। এমনকি দুই প্লেয়ারের শাস্তি হতে পারে বলেও মনে করছেন। কী শাস্তি হতে পারে?
মেলবোর্নে টেস্ট অভিষেকে বিধ্বংসী ব্যাটিং করছিলেন স্যাম কন্টাস। দশম ওভার শেষের ঘটনা। উল্টো প্রান্তে ওপেনিং পার্টনার উসমান খোয়াজার সঙ্গে কথা বলতে এগচ্ছিলেন স্যাম কন্টাস। বল হাতে অন্য প্রান্তে যাচ্ছিলেন বিরাট কোহলি। মাঝ পিচে ধাক্কা। কথা কাটাকাটিও হয়। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ক্রিকেট মাঠে ইচ্ছাকৃত কোনও বডি কন্ট্যাক্ট হলে তা অপরাধ। দু-জনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে আম্পায়ার মাইকেল গফ হস্তক্ষেপ করেন এবং পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এর আগে ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচে এমন ঘটনা হয়েছিল কাগিসো রাবাডা এবং স্টিভ স্মিথের মধ্যেও। স্টিভ স্মিথের কাঁধে ছোঁয়া দিয়েছিলেন রাবাডা। প্রাথমিক ভাবে তাঁকে তিন ডিমেরিট পয়েন্টের শাস্তি দিয়েছিল আইসিসি। যদিও আবেদনের পর সেই শাস্তি উঠে গিয়েছিল। এই ধরনের ঘটনায় এক টেস্ট নির্বাসনের মতো শাস্তিও হতে পারে। আইসিসি কড়া সিদ্ধান্ত নিলে স্যাম কন্টাস কিংবা বিরাট কোহলির দু-জনেরই সবচেয়ে বড় শাস্তি হতে পারে ম্যাচ নির্বাসনের। সেই অবধি না পৌঁছলে অন্তত জরিমানাও হতে পারে।
আইসিসি এলিট প্যানেলের প্রাক্তন আম্পায়ার সাইমন টফেল এবং প্রাক্তন অজি ক্যাপ্টেন রিকি পন্টিং দু-জনেই মনে করছেন, এখানে হয়তো নির্বাসনের মতো বড় শাস্তি হবে না। সাইমন বলেন, ‘ক্রিকেট মাঠে আমরা কখনও বডি কনট্যাক্ট দেখতে পছন্দ করি না। অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণের বাইরেও চলে যায়। প্রত্যেকেই মাঠে উত্তেজনায় থাকে তাই এমন ঘটনা হয়েই যায়। এখানে দু-জনই জড়িত। এই ঘটনা বেশি না এগনোই শ্রেয়। আমার মতে, এটা এখানেই থামিয়ে দেওয়া উচিত।’