পাকিস্তান বধ, সেমিফাইনাল নিশ্চিত, বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি! ভারতীয় শিবিরে এর চেয়ে দুর্দান্ত কম্বিনেশন আর কী হতে পারে? গত কয়েক মাস ধরে দলের সুপার স্টারদের নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছিল। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির মাঝপথেই অবসর নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। রোহিত, বিরাট, জাডেজারও অবসর নেওয়া উচিত, এমন মন্তব্যও ঘুরছিল। ওয়ান ডে ক্রিকেটেও তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন রোহিত শর্মা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি বিরাট কোহলির। একটু যেন স্বস্তি। বিরাটের সেঞ্চুরিটা নিয়ে অবশ্য দ্বিধা ছিল। সেই তথ্যই খোলসা করলেন ভারতের অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল।
বোলারদের দাপটে পাকিস্তানকে মাত্র ২৪১ রানেই অলআউট করেছিল ভারত। রান তাড়ায় ইনিংসের শুরুতেই রোহিত শর্মার উইকেট পড়ে। শুভমন গিলের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন বিরাট কোহলি। শুভমনকে ফেরান লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ। শ্রেয়সও দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। বিরাট-শ্রেয়স জুটিতে সব ঠিকই চলছিল। কিন্তু শ্রেয়স আউট হতেই বিরাট ভক্তদের মধ্যে ‘চিন্তা’। ক্রিজে হার্দিক পান্ডিয়া। পাকিস্তানের উপর তাঁরও বদলার বিষয় ছিল। হার্দিক যদি বিধ্বংসী ব্যাটিং শুরু করেন! কিন্তু হার্দিকের ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সম্ভবত এই প্রথম হার্দিকের আউটেও স্বস্তি পেয়েছিলেন বিরাট-ভক্তরা।
হার্দিক পান্ডিয়া ক্রিজে থাকলে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি আদৌ হত কি না সন্দেহ রয়েছে। কারণ, হার্দিক দ্রুত জয়েই নজর দিতেন। অক্ষর প্যাটেল যখন ক্রিজে আসেন, ভারতের প্রয়োজন আর ১৯ রান। বিরাট ৮৬ রানে ব্যাট করছিলেন। অর্থাৎ তাঁর প্রয়োজন ছিল আরও ১৪ রান। অক্ষর চাইলেই বড় শট খেলতে পারতেন। সেক্ষেত্রে আর বিরাটের সেঞ্চুরি হত না।
আইসিসির পোস্ট করা একটি ভিডিয়োতে অক্ষর বলেন, ‘শেষ দিকে আমিও অঙ্ক করছিলাম। বিরাটের সেঞ্চুরির জন্য কত রান দরকার, এটা হিসেব করছিলাম। আর শুধু ভাবছিলাম, ব্যাটের কানায় বল না লাগে। সত্যি বলতে, মজার পরিস্থিতি ছিল।’ পরিস্থিতি আরও জটিল হয় ৪২ তম ওভারে। তিনটি ওয়াইড করেন শাহিন আফ্রিদি। বিরাটের সেঞ্চুরি তখন আর বাস্তব মনে হচ্ছিল না। অক্ষর সিঙ্গল নিয়ে স্ট্রাইক দেন কোহলিকে। মাত্র ২ রান বাকি, কোহলির চাই তখনও ৪ রান। বিরাট বাউন্ডারি মেরে অবশেষে সেঞ্চুরি এবং জয় পূর্ণ করেন।