বিরাট কোহলি নিজেকে যে স্তরে নিয়ে গিয়েছেন, এখন সেঞ্চুরি ছাড়া তাঁর সব ইনিংসই ব্যর্থতা মনে করা যেতে পারে। ম্যাচ জেতানো ৩০-৪০ রানের ইনিংস এখন আর হিসেবে ধরা হয় না। সদ্য ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। তাতেও অবশ্য সমালোচনা থামেনি। প্রশ্ন উঠেছিল বিরাট কোহলির ফর্ম নিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শুরুটা ভালো করলেও ২০-র ঘরেই ফেরেন। সমালোচনা জোরালো হওয়ার আগেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি। গর্বিত কোচ মনে করছেন, এ বার অন্তত কোহলির ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না!
আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ম্যাচে সেঞ্চুরির নিরিখে গত ওয়ান ডে বিশ্বকাপেই সচিন তেন্ডুলকরকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন। দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১১১ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি। ৪৫ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় ভারতের। ওডিআই কেরিয়ারে ৫১ তম সেঞ্চুরি। ম্যাচের সেরা বিরাট কোহলিই। তাঁর ছেলেবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা আশা করছেন, বিরাটকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা বন্ধ হবে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে বিরাটের ছেলেবেলার কোচ রাজকুমার শর্মা বলেন, ‘এখন নিশ্চয়ই কেউ জিজ্ঞেস করবে না বিরাট ফর্মে রয়েছি কি না? ও সব সময়ই বড় ম্যাচের প্লেয়ার। সেটা আরও এক বার প্রমাণ করে দিল। কঠিন প্রতিপক্ষর বিরুদ্ধে বরাবরই পারফর্ম করে। বছরের পর বছর এই কাজটা করে আসছে। দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতানো ইনিংস বিরাটেরই।’
পাকিস্তান ম্যাচে প্রথম ১৫ রান করার পরই আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ক্রিকেটে ১৪ হাজার পূর্ণ করেন বিরাট কোহলি। সচিন তেন্ডুলকর, কুমার সঙ্গাকারার পর বিশ্বের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি বিরাটের।