ICC ODI World Cup: প্রোটিয়াদের কাছে লজ্জার হার! এমন বিপর্যয়ের মুখোমুখি কবে হয়েছে ইংল্যান্ড?
England: আফগানিস্তানের কাছে হেরে শুরুতেই প্রথম অঘটন ঘটিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। আর এ বার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে লজ্জাজনক ভাবে হারতে হল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। সেই চেনা ছন্দে এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি ইংল্যান্ডকে । প্রোটিয়াদের কাছে ২২৯ ব্যবধানে হারবে ইংল্যান্ড, এটা হয়তো প্রত্যাশা করেননি কেউ।

নয়াদিল্লি: এ বিশ্বকাপ (ICC ODI World Cup 2023) অঘটনের! শুরু থেকেই আঁচ পেয়েছিলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। কারও ভাগ্য সঙ্গ দিচ্ছে, কারও একেবারেই নয়। কোনও টিম ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দুরন্ত, কোনও দল আবার তলিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে। ঠিক তেমনই এ বারের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের (England) ভাগ্য শুরু থেকেই খারাপ। আফগানিস্তানের কাছে হেরে শুরুতেই প্রথম অঘটন ঘটিয়ে ফেলেছিল ইংল্যান্ড। আর এ বার দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে লজ্জাজনক হারতে হল গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। সেই চেনা ছন্দে এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি ইংল্যান্ডকে। প্রোটিয়াদের কাছে ২২৯ ব্যবধানে হারবে ইংল্যান্ড, এমন আশঙ্কা করেননি কেউই। ওয়ান ডে এবং বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন বিপর্যয়ের মুখে আর কখনও পড়েছে ইংল্যান্ড? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ওডিআই ফরম্যাটে ইংল্যান্ডের বিপর্যয়:
ওডিআই ফরম্যাটে ২২৯ রানের ব্যবধানে হারই এখনও পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। ২০২২ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২২১ রানে হেরেছিলেন বেন স্টোকসরা। ২০২৮ সালে কলোম্বোতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে ২১৯ রানে লঙ্কানদের কাছে হারে থ্রি লায়ন্সরা। ১৯৯৪-এ কিংসটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৬৫ রানের ব্যবধানে হেরেছিলেন জস বাটলারের দল। এ ছাড়া বড় রানের ব্যবধানে ওডিআইতে হার ১৯৯ সালে। মেলবোর্নে সে বার অজিদের কাছে ১৬২ রানে হেরেছিল ইংল্যান্ড।
বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপর্যয়:
বিশ্বকাপের ইতিহাসেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২২৯ রানে হারই ইংল্য়ান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১১২ রানে হেরেছিল থ্রি লায়ন্সরা। ফের ২০১৫ সালে মেলবোর্নের মাটিতেই ১১১ রানের ব্যবধানে বাটলার বাহিনীকে পরাস্ত করে অস্ট্রেলিয়া। ১৯৭৯ বিশ্বকাপেও অঘটন ঘটেছিল ইংল্যান্ডের। লর্ডসের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৯২ রানে হারে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের কাছেও হেরেছে ইংল্যান্ড, তাও খুব একটা কম রানের ব্যবধানে নয়। ২০০৩ বিশ্বকাপে ডারবানে টিম ইন্ডিয়ার কাছে ৮২ রানে হেরেছিল ইংল্যান্ড।
ব্যর্থতা, সমালোচনা, হার— এ সব অনেক সময় একটা টিমের অহংয়ে ধাক্কা দেয়। প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ বেঁধে দেয় সে সব। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে তাই হয়েছে এ বারের বিশ্বকাপের শুরুতে। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রেও তাই হতে পারে? বিশ্বকাপ এখন মাঝবয়সী। যদি ঘুরে দাঁড়াতে হয়, পরের ম্যাচ থেকেই তার ছাপ রাখতে হবে। জিততে হবে টানা। তাতেও সব অঙ্ক মেলানো নাও যেতে পারে। শেষ চারে পা রাখার অঙ্ক যদি নাও মেলাতে পারেন বাটলার-স্টোকসরা, প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সম্মান তো ফেরাতে পারবেন? এই ভাবনা নিশ্চয়ই দানা বাঁধছে ইংলিশ শিবিরে।





