নয়াদিল্লি: টাইমড আউট বিতর্কে সরগরম ক্রিকেট দুনিয়া। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ‘টাইমড আউট’ অস্ত্র কাজে লাগিয়ে ম্য়াচ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। টাইমড আউটের জ্বালে ফেঁসে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লঙ্কান তারকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউসকে। ক্রিকেটের ১৪৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। যা রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে। বিশ্বকাপ ছাপিয়ে আলোচনায় শুধু ম্যাথিউস ও সাকিব আল হাসান। একই ঘটনার হাত থেকে ১৬ বছর আগে বেঁচেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সে দিন কী হয়েছিল মহারাজের সঙ্গে? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টাইমড আউটের শিকার হয়ে ফুঁসছেন ম্যাথিউস। টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের খেলোয়াড়সুলভ মনোভাব নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, উইকেট পতনের পর নতুন ব্যাটসম্যানকে ৩ মিনিটের মধ্যে ক্রিজে স্টান্স নিতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে যদি ক্রিজে পৌঁছতে ব্যর্থ হন সংশ্লিস্ট ব্যাটার, তবে তাঁকে আউট বলে ঘোষণা করা হবে। তবে এই আউটের জন্য বিপক্ষ দলকে আম্পায়ারের কাছে আউটের জন্য আবেদন করতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী, এই উইকেট কোনও বোলারের শিকার বলে গণ্য হবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্ৰথম ব্যাটার হিসাবে এই অদ্ভুত আউটের শিকার হলেন ম্যাথিউস। অতীতের পাতা ওল্টালে দেখা যাবে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও এই টাইমড আউটের জাঁতাকলে পড়তে-পড়তে কোনও রকমে বেঁচেছিলেন। সেই সময় মহারাজের সঙ্গ দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ।
কী ঘটেছিল সে বার? ২০০৭ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত। ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারায় টিম ইন্ডিয়া। হাল ধরে নামার কথা ছিল সচিন তেন্ডুলকরের। কিন্তু ফিল্ডিংয়ের সময় বেশ কিছু সময় মাঠের বাইরে থাকায়, ব্যাট করার অনুমতি পাননি মাস্টার ব্লাস্টার। চার নম্বরে ডাক আসে ভিভিএস লক্ষ্মণের। কিন্তু সেই সময় স্নানে ব্যস্ত ছিলেন লক্ষ্মণ। সৌরভ বুঝে গিয়েছিলেন এ বার হাল ধরতে হবে তাঁকেই। তাই আর সময় নষ্ট না করে কোনও রকমে তৈরি হয়ে মাঠে নেমে পড়েছিলেন তিনি। ভালো করে প্যাড, গ্লাভস পরার সময়টুকুও পাননি। আইসিসির নিয়মানুযায়ী, নির্ধারিত তিন মিনিট সময় তখন অতিক্রান্ত। কিন্তু সেই সময় মানবিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন প্রোটিয়া অধিনায়ক গ্রেম স্মিথ। ফলে টাইমড আউটের শিকার হতে হয়নি সৌরভকে। সাকিবও যদি স্মিথের মতো সিদ্ধান্ত নিতেন তা হলে হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হত না ‘টাইমড আউট’এর।