এ বার কি সিএবিতেও জমি শক্ত করতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল? রাজ্যের অন্যান্য খেলাধুলার সংস্থাগুলোতে শাসক দলের প্রভাব থাকলেও, বাংলার ক্রিকেট সংস্থায় এখনও সেভাবে মাটি শক্ত করতে পারেনি শাসক দল। এবার কি তাহলে সেই পন্থাই অবলম্বনের চেষ্টা? সোমবার রাতে সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভায় দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গীকে। পুলিশ অ্যাথলেটিক ক্লাব থেকে প্রতিনিধিত্ব করলেন কুসুম কুমার দ্বিবেদী। এর ফলে সিএবির সাব কমিটিতে আসার রাস্তা খোলা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যিনি এজিএমে অংশ নিচ্ছেন, তাঁকেই সিএবির সাব কমিটিতে আসতে। এর ব্যতিক্রমও অবশ্য রয়েছে, তবে তা সংখ্যায় অনেক কম। সিএবির পরবর্তী অ্যাপেক্স কাউন্সিলে ছবিটা পরিষ্কার হতে পারে।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে সিএবিতে বেশ কিছু ভোলবদল হতে পারে। বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের মেয়াদ ফুরোচ্ছে। সেই জায়গায় আসতে পারে নতুন মুখ। নির্বাচনী হাওয়া ঘুরতে থাকলেও, বাংলার ক্রিকেটের মুখ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অবশ্য চাইবেন না সিএবিতে নির্বাচন হোক। সেক্ষেত্রে তাঁর মনপসন্দ কমিটি যে তৈরি হতে পারে তা আন্দাজ করাই যায়। শাসক দলের সঙ্গে সুসম্পর্কও বজায় রেখে চলেছেন মহারাজ। তবে সিএবির বার্ষিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গীকে দেখার পর বাংলার ক্রিকেটমহলে যে নতুন করে জল্পনা বাড়ল তা বলাই যায়।
অন্যান্য খেলায় রাজ্য সংস্থার বিভিন্ন পদে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই। অ্যাথলেটিক্স হোক বা হকি, বেঙ্গল অলিম্পিক, মোহনবাগান ক্লাব। প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই শাসক দলের দাপট রয়েছে। বাংলা ক্রিকেট সংস্থায় সেটি পুরোপুরি নয়। শীর্ষকর্তাদের মধ্যে সরাসরি কেউ পদে নেই। সেই টার্গেটেই কি এগনোর কাজ চলছে? পরিস্থিতি যেন এমনই বলছে।