করাচি : বাবর আজমের বড় ইনিংস। তাতেও স্বস্তিতে নেই পাকিস্তান। করাচিতে বক্সিং ডে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির ইঙ্গিত ছিল বাবর আজমের ব্যাটে। ম্যাচের প্রথম দিনের শেষে ১৬১ রানে ক্রিজে ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। এ দিন আর কোনও রান যোগ করতে পারেননি। ডাবল সেঞ্চুরিও আসেনি তাঁর ব্য়াটে। তারপরও পাকিস্তান বড় রান করতে পেরেছে। আঘা সলমনের শতরানের সৌজন্য়ে প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রান করে পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিনের শেষে সেটাও যথেষ্ট দেখাল না। দ্বিতীয় দিনের বিস্তারিত রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
করাচিতে প্রথম দিনের পিচেই বল টার্ন হচ্ছিল। মনে করা হচ্ছিল, স্পিন অস্ত্রেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করবে পাকিস্তান। তাদের সেই পরিকল্পনা এ দিন অন্তত কাজে আসেনি। নিউজিল্যান্ডের দুই বাঁ হাতি ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং টম ল্যাথাম অনবদ্য ব্য়াটিং করেন। স্পিন, পেস কোনও অস্ত্রেই খেই হারায়নি তারা। ওপেনিং জুটিতে ইতিমধ্যেই ১৬৫ রান যোগ করেছেন কনওয়ে এবং ল্যাথাম। পাকিস্তানের মাটিতে নিজেদের রেকর্ড ছাপিয়ে গেল নিউজিল্য়ান্ড। এর আগে ১৯৬৫ সালে ওপেনিং জুটিতে সর্বাধিক ১৩৬ রান যোগ করেছিল তারা। এ বার ১৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। প্রথম দিনের তুলনায় পিচ ব্য়াটারদের জন্য় কিছুটা সুবিধার হয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। তেমনই স্পিনারদের বিরুদ্ধে সুইপ অস্ত্রকে খুব ভালো ভাবেই কাজে লাগিয়েছে নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি।
প্রথম ইনিংসে রানের নিরিখে আরও ২৭৩ রানে পিছিয়ে নিউজিল্যান্ড। হাতে ১০ উইকেট। দিনের শেষে ৮২ রানে অপরাজিত রয়েছেন কনওয়ে। টেস্টে নিউজিল্য়ান্ডের হয়ে দ্রুততম হাজার রানের মাইলফলকে কনওয়ে। ১৯তম ইনিংসে এই রান কনওয়ের। দুই ওপেনার যেন মাঠে নিজেদের এলাকা ভাগ করে নিয়েছিলেন। কনওয়ের বেশির ভাগ রানই এসেছে পয়েন্ট এবং লং অফের দিক থেকে। তেমনই ল্যাথামের ক্ষেত্রে এলাকাটা ফাইন লেগ এবং মিড উইকেট। শেষ সেশনে দু-দিক থেকেই স্পিন আক্রমণ। নৌমান আলি চেষ্টা করেছেন অফ স্টাম্পের বাইরে ক্ষত থেকে বল টার্ন করানোর। তরুণ স্পিনার আবরার আহমেদের বোলিংয়ে বেশ বৈচিত্র ছিল। তবে তাঁর অভিজ্ঞতা কম।