India vs South Africa: লড়লেন রাহানে-পূজারা, তবুও সিরিজে সমতা ফেরানোর সুযোগ আছে এলগারদের

টিম ইন্ডিয়াকে জো'বার্গেই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জেতানোর গুরুদায়িত্ব এ বার ভারতীয় বোলারদের কাঁধে। ম্যাচটা এখনও ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে যায়নি। ক্রিকেট যে অনিশ্চয়তার খেলা, সেটা চতুর্থ দিন বুমরা-সামিরা বুঝিয়ে দিলেই চওড়া হাসি ফুটবে টিম ইন্ডিয়া শিবিরে।

India vs South Africa: লড়লেন রাহানে-পূজারা, তবুও সিরিজে সমতা ফেরানোর সুযোগ আছে এলগারদের
লড়লেন রাহানে-পূজারা, তবুও সিরিজে সমতা ফেরানোর সুযোগ আছে এলগারদের (ছবি-টুইটার)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 05, 2022 | 10:10 PM

ভারত – ২০২ (৬৩.১ ওভার) (প্রথম ইনিংস) ২৬৬ (৬০.১ ওভার) (দ্বিতীয় ইনিংস) দক্ষিণ আফ্রিকা – ২২৯ (৭৯.৪ ওভার) (প্রথম ইনিংস) ১১৮-২ (৪০ ওভার) (দ্বিতীয় ইনিংস) ভারত ৮৫-২ (২০ ওভার) দ্বিতীয় দিনের পর

জোহানেসবার্গ: জো’বার্গ টেস্টে যতটা সহজে জয় পাবে বলে মনে হচ্ছিল ভারত, ততটাও সহজ হতে দিচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন ডিন এলগারকে তৃতীয় দিন আউট করতে পারলে, ভারতের (India) চিন্তা খানিকটা কমে যেত। তৃতীয় দিন ওয়ান্ডারার্সে ভারত পেল দুটো উইকেট। একটা উইকেট এনে দিলেন শার্দূল ও দ্বিতীয়টা এনে দিলেন অশ্বিন। টিম ইন্ডিয়াকে জো’বার্গেই প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জেতানোর গুরুদায়িত্ব এ বার ভারতীয় বোলারদের কাঁধে। ম্যাচটা এখনও ভারতের হাত থেকে বেরিয়ে যায়নি। ক্রিকেট যে অনিশ্চয়তার খেলা, সেটা চতুর্থ দিন বুমরা-সামিরা বুঝিয়ে দিলেই চওড়া হাসি ফুটবে টিম ইন্ডিয়া শিবিরে। চতুর্থ দিন জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ১২২ রান। আর ভারতের প্রয়োজন ৮ উইকেট।

জোহানেসবার্গে তৃতীয় দিন বিশেষ নজরে ছিলেন ভারতের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার। চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্ক রাহানে। এদিন রাহানে-পূজারা দেখালেন ১১১ রানের পার্টনারশিপ। জো’বার্গে ব্যাক্তিগত ৫৮ রান করে গেলেন রাহানে। পূজারার ব্যাট থেকে এল ৫৩ রান। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের ব্যাট থেকেই লড়াকু হাফসেঞ্চুরি পেল ভারত। দ্বিতীয় দিন দুই ওপেনারের উইকেট হারানোর পর, স্বাভাবিক ভাবেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে তৃতীয় দিন মাঠে নেমেছিলেন পূজারা ও রাহানে। মনে মনে তাঁরা দু’জনই জানতেন আজকের রানটা তাঁদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে তাঁরা লড়লেন ঠিকই, এমনকি দলকে জেতার রসদও জোগাড় করে দিলেন, কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট যে তাঁদের ওপর আরও বেশি আশা রেখেছিল।

জো’বার্গে একদিকে যখন ক্রিজ কামড়ে লড়াই চালালেন রাহানে-পূজারা জুটি। তেমনই অন্য দিকে ঋষভ পন্থ মনোসংযোগ হারিয়ে উইকেট দিয়ে এলেন। রাহানে-পূজারা জুটি ম্যাচে টিকে থাকার রসদ জোগাড় করে দিলেও, ঋষভ পন্থের মতো ব্যাটারের থেকে প্রাপ্তি বলতে হতাশা। দু’বার রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওয়ান্ডারার্স। পন্থকে আগের দিনের বিতর্কিত এক ক্যাচ নেওয়ার জন্য খোঁচা দিতে থাকেন রাসি ভ্যান দার দুসেন। ব্যাস তারপরই অহেতুক বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে বসেন পন্থ। শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পন্থের আউট হওয়ার ধরণ দেখে, বিরক্তি প্রকাশ করেন কমেন্ট্রি বক্সে থাকা ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। এরপর দুই বোলারের ঝালেমা মেটাতে ছুটে আসতে হয় আম্পায়ারদের। নিজের ওভারের প্রথম চারটে বলই বাউন্সার দেন জেনসেন। চারটে বলই আছড়ে পড়ে বুমরার গায়ে। যে কারণে রীতিমতো চটে যান বুমরা। ঠিক তখনই আবার কিছুটা বলেনও জেনসেন। যার পর মাথা গরম করতে দেখা যায় বুমরাকে। ভারতীয় পেসার কার্যত তেড়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারের দিকে। দুই আম্পায়ার এসে দু’জনকে থামান। ফলে নরমে-গরমে এগিয়ে যেতে থাকে ভারতের ইনিংস।

পন্থ ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেলেও রবিচন্দ্রন অশ্বিন, শার্দূল ঠাকুর এবং হনুমা বিহারি দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা রান তুলে দিয়ে যান। সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪০ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত। অপরাজিত ৪০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন হনুমা বিহারি। এক বছর পরে জাতীয় দলে ফের সুযোগ পাওয়া বিহারি, কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্টকে তাঁর ব্যাপারে ভাবতে বাধ্য করে দিয়ে গেলেন। চতুর্থ দিন সিরিজে সমতা ফেরানোর সুযোগ রয়েছে এলগারদের কাছে। তবে বুমরা-সামি-শার্দূলরা পাল্টা লড়াই চালিয়ে যেতে পারলে, ইতিহাস গড়বে ভারত।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত (দ্বিতীয় ইনিংস) ২৬৬ (চেতেশ্বর পূজারা ৫২, অজিঙ্ক রাহানে ৫৮; মার্কো জেনসেন ৩-৬৭, লুনগি এনগিডি ৩-৪৩) দক্ষিণ আফ্রিকা ১১৮-২ (ডিন এলগার ৪৬*, এইডেন মার্করাম ৩১; রবিচন্দ্রন অশ্বিন ১-১৪, শার্দূল ঠাকুর ১-২৪)