নয়াদিল্লি : ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ার নিয়ম যদি না থাকলে! হয়তো সাই সুদর্শনকে অপেক্ষা করতে হত সুযোগের। গুজরাট টাইটান্সের প্রথম ম্যাচেই গুরুতর চোট পেয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসন। ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ারের নিয়মে তিনে ব্য়াটিংয়ে পাঠানো হয় সাই সুদর্শনকে। প্রথম ম্য়াচেই ইমপ্য়াক্ট ফেলার মতো ইনিংস খেলেছিলেন। কেন উইলিয়ামসন এই মরসুমের জন্য ছিটকে গিয়েছেন। ডেভিড মিলার চলে আসায় সন্দেহ ছিল, সাই আর সুযোগ পাবেন তো! উইলিয়ামসনের জায়গায় খেলানোই যেত মিলারকে। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ভরসা রাখেন ২১ বছরের সাই সুদর্শনে। তাঁকে রেখেই একাদশ গড়েন। বিজয় শঙ্করকে ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলানো হয়। ডেভিড মিলারও একাদশে জায়গা পেলেন। অধিনায়কের ভরসার মর্যাদা রাখলেন সাই। তাঁর চোখ জুড়োনো কিছু শটও দেখা গেল। ম্য়াচ শেষে কী বললেন সাই? অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াই বা কী বলছেন! বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
বোর্ডে ১৬৩ রানের লক্ষ্য়। এই রান নিয়েও সাময়িক হোঁচট খেয়েছিল গুজরাট টাইটান্স। দক্ষিণ আফ্রিকার এক্সপ্রেস গতির পেসার অনরিখ নর্ৎজে দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমন গিলকে বোল্ড করেন। ১৪৫কিমি/ঘণ্টার বেশি গতিতে উইকেট ছিটকে দেন। তিনে নামা সাই সুদর্শন সেই নর্ৎজের বিরুদ্ধেই সুন্দর স্কুপ খেলেন। যা দেখে নর্ৎজেও জার্সিতে মুখ ঢাকেন। অতি আগ্রাসী ব্যাটিং নয়। ম্যাচটাকে গভীরে নেওয়ার চেষ্টা করলেন। সঙ্গে ইমপ্য়াক্ট রাখার মতোই জুটি গড়েন বিজয় শঙ্কর। শেষদিকে ডেভিড মিলার ছিলেনই। ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় গুজরাট টাইটান্স। নিজের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে ম্যাচের সাই সুদর্শন বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট আমার ওপর ভরসা রেখেছে। এর জন্য় ধন্যবাদ। দিল্লিতে প্রথম ম্যাচ খেললাম। ক্রিজে নেমে লক্ষ্য ছিল, এই পিচে কোনটা ঠিক সেটা দ্রুত বোঝা। শুরুর দিকে বল সিম করছিল। পরে স্পিনাররাও সুবিধা পায়। পেসারদের বল স্কিড করছিল। শুরুতেই শট খেলে আফশোস করার চেয়ে ম্যাচটাকে গভীরে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
লক্ষ্যে সফল সাই। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বলেন, ‘ম্যাচে শুরুটা খুব মজার হয়েছে। কী হচ্ছিল নিজেরাও বুঝতে পারছিলাম না। পাওয়ার প্লে-তে আমরা অন্তত ১৫-২০ রান বেশি দিয়েছি।’ নিজের নেতৃত্ব প্রসঙ্গে বলছেন, ‘এটাই আমার খেলার ধরণ। অন্যের সিদ্ধান্তে সফল হওয়ার চেয়ে নিজের সিদ্ধান্ত ব্যর্থ হতেই বেশি পছন্দ করব। নিজের উপর ভরসা রাখতে চাই। দলের সকলকেই বলি, খেলাটাকে উপভোগ করতে।’ তরুণ ব্য়াটার সাই সুদর্শনের ওপর ভরসা রেখেছিলেন অধিনায়ক। মর্যাদা যে রেখেছেন সাই, স্পষ্ট অধিনায়কের কথাতেই। হার্দিক বলেন, ‘সাই খুব সুন্দর ব্যাটিং করেছে। এত দিন ও যে পরিশ্রম করেছে, তার ফল পাচ্ছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আগামী দু-বছরের মধ্যে ও ভালো কিছুই করবে। হয়তো ভারতের জার্সিতেও দেখা যাবে।’