Kevin Petersen-Reece Topley: কেপির ড্রাইভে কেরিয়ারই শেষ হয়ে যাচ্ছিল, লর্ডসে ৬ উইকেটে বিস্ময়কর উত্থান টপলির

ফুলটস বল। কেভিন পিটারসনের ড্রাইভ। বল গিয়ে আঘাত করে মাথায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর দ্রুত হাসপাতালে নিতে হয়। এক রাত সেখানেই কাটে। কানের পাশে বেশ কিছু সেলাই পড়েছিল।

Kevin Petersen-Reece Topley: কেপির ড্রাইভে কেরিয়ারই শেষ হয়ে যাচ্ছিল, লর্ডসে ৬ উইকেটে বিস্ময়কর উত্থান টপলির
কিশোর এবং লর্ডসে ৬ উইকেট নেওয়ার পর রিস টপলি।Image Credit source: TWITTER
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 16, 2022 | 2:08 PM

কলকাতা: সে দিনটা ভোলার নয়। তেমনই এই দিনটাও না। সে দিন বলতে ২০০৯ সালের জুন। আর এই দিন, লর্ডসে (Lord’s) ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ। যোগসূত্র রয়েছে। অভিজ্ঞতা খুব ভয়ঙ্কর। ওয়ান ডে সিরিজে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড। ১০০ রানের ব্যবধানে জয়। অথচ বোর্ডে রান ছিল মাত্র ২৪৬। ঠিক যেন সচিন-সৌরভদের সময়কার ম্য়াচ। বোর্ডে ২৫০ রান তুলেও জয়ের কথা ভাবা যায়। যেখানে ওডিআই ক্রিকেটে এখন হামেশাই ৩০০ পেরোয়। এমনকি ইংল্য়ান্ড কিছুদিন আগে ৫০০-র কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। ২৪৬ রান নিয়েও লর্ডসে ইংল্য়ান্ডের জয়ে বড় ভূমিকা নিলেন এক বাঁ হাতি পেসার রিস টপলি (Reece Topley)। আধডজন উইকেট নিয়ে ভারতের জয়ের আশায় জল ঢালেন। অথচ কেভিন পিটারসনের ড্রাইভে (Kevin Petersen) ১৫ বছর বয়সে কেরিয়ারই শেষ হয়ে যাচ্ছিল টপলির।

সালটা ২০০৯। কেভিন পিটারসনকে চিনতে কারও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক কেপি। সে সময় এসেক্স কাউন্টি ক্লাবে ক্রিকেটের শিক্ষার্থী টপলি। বয়স মাত্র ১৫। সুযোগ হয়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেটের অন্যতম নায়ক কেভিন পিটারসনকে বোলিং করার। এমন সুযোগ এক কিশোরের কাছে বিরাট প্রাপ্তি। কিন্তু সেটাই কাল হতে চলেছিল। ফুলটস বলে কেভিন পিটারসনের ড্রাইভ। বল সরাসরি লাগে টপলির মাথায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয় তাঁকে। একটা রাত সেখানেই কাটে। কানের পাশে বেশ কিছু সেলাই পড়েছিল। ঘটনার পর টপলিকে তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার বলেছিলেন কেভিন পিটারসন। সই করে নিজের ব্য়াট উপহার দিয়েছিলেন কিশোর রিস টপলিকে।

ইংল্যান্ড জাতীয় দল, টি ২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সে কারণেই বেশ কিছু নেট বোলারকে ডাকা হয়। বাঁ হাতি পেসার রিস টপলি তাঁদেরই একজন। রিসের বাবা ডন টপলি এসেক্স কাউন্টি ক্লাবের তারকা ক্রিকেটার ছিলেন। ছেলের দুর্ঘটনার পর ডন বলেছিলেন, কেপি খুব জোরে শট খেলে। ওর ওই শটটার গতি প্রায় ১০০ মাইল ছিল। চোখের সামনে সেটা দেখেছি। খুবই দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। রিসের বাঁ কানের পাশে সজোরে লাগে বল। প্রচুর রক্ত ঝরেছিল। ব্যথা তো বটেই, মানসিক আঘাতও পেয়েছিল। আতঙ্কে ভুগে ছিল অনেক দিন। ওর ফুলটস বলে কেপি প্রায় মাঝ পিচে এসে শটটা খেলেছিল। এমন পরিস্থিতি আগেও অনেক দেখেছি। বুঝি, এমনটা হতেই পারে। ঘটনার পর কেভিন নিজেও খুব ভেঙে পড়েছিল।’

সে দিনের সেই কিশোর টপলি লর্ডসে ৬ উইকেট নিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাতে সাহায্য করলেন ইংল্যান্ডকে। মাত্র ১৭ টি ওয়ান ডে ম্য়াচ খেলেছেন এখনও পর্যন্ত। নিয়েছেন ২৮টা উইকেট। ইংল্যান্ড বোলিং আক্রমণের ভবিষ্যৎ, সন্দেহ নেই। সবচেয়ে বড় দিক হল, টপলির আগ্রাসী বোলিং, হার না মানা লড়াই। আর তা দিয়েই জস বাটলারের পুরো টিমকে তাতিয়ে দিচ্ছেন টপলির।