‘জয় শ্রী রাম’ লেখা পরীক্ষার খাতায়, পাশও করিয়ে দেওয়া হল ‘রামভক্ত’ পড়ুয়াকে!

Uttar Pradesh: যে সমস্ত পড়ুয়ারা পরীক্ষার খাতায় উত্তরের বদলে গান, ধর্মীয় স্লোগান বা খেলোয়াড়দের নাম লিখে আসত, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অধ্যাপকরা টাকার বিনিময়ে তাদের পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতেন। এমনকী যারা শূন্য পেয়েছে, তাদের মার্কশিটেও ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর থাকত। 

'জয় শ্রী রাম' লেখা পরীক্ষার খাতায়, পাশও করিয়ে দেওয়া হল 'রামভক্ত' পড়ুয়াকে!
পরীক্ষার খাতায় লেখা জয় শ্রী রাম।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Apr 27, 2024 | 8:21 AM

লখনউ: রাম জ্বরে আক্রান্ত গোটা দেশ। অযোধ্যার রাম মন্দির তৈরি হওয়ার পর শ্রী রামকে ঘিরে উন্মাদনাও বেড়ে গিয়েছে। তাই বলে পরীক্ষায় খাতায় জয় শ্রী রাম লেখা? উত্তর পত্রে জয় শ্রী রাম ও কয়েকজন পছন্দের ক্রিকেটারের নাম লিখে এসেছিলেন এক কলেজ পড়ুয়া। রামের নামের জোরে পরীক্ষায় উতরেও গিয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। আইন ধরে ফেলল জোচ্চুরি। রাতারাতি সাসপেন্ড করে দেওয়া হল দুই অধ্যাপককে।

ভাইরাল হওয়া উত্তরপত্রে দেখা গিয়েছে, ‘ফার্মাসি অ্যাজ অ্যা কেরিয়ার’ প্রশ্নের উত্তরের মাঝেই এক পড়ুয়া ‘জয় শ্রী রাম’ লিখে এসেছে। নীচে হার্দিক পান্ডিয়া, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার নামও লেখা ছিল।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বীর বাহাদুর সিং পূর্বাঞ্চল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের টাকার বিনিময়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে দুই অধ্যাপককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, যে সমস্ত পড়ুয়ারা পরীক্ষার খাতায় উত্তরের বদলে গান, ধর্মীয় স্লোগান বা খেলোয়াড়দের নাম লিখে আসত, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অধ্যাপকরা টাকার বিনিময়ে তাদের পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিতেন। এমনকী যারা শূন্য পেয়েছে, তাদের মার্কশিটেও ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর থাকত।

সম্প্রতিই আরটিআই করাতেই ফাঁস হয়ে যায় গোটা ঘটনা। দেখা যায়, সাদা খাতা জমা দেওয়া পড়ুয়াদেরও ভুরি ভুরি নম্বর দেওয়া হয়েছে। মার্কশিটেও বিরাট গরমিল পাওয়া যায়। এরপরই দিব্য়াংশু সিং নামক এক ছাত্রনেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ থেকে শুরু করে রাজ্যপাল ও ভাইস চ্যান্সেলরকে চিঠি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানান।

রাজভবনের তরফে ভাইস চ্যান্সেলরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং যথাযথ পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিতেই দুই অধ্যাপককে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। ভাইস চ্যান্সেলর বন্দনা সিং বলেন, “পড়ুয়াদের বেশি নম্বর দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আমরা একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করেছি, ওই কমিটি রিপোর্টও জমা দিয়েছে।”

পরীক্ষার খাতায় ধর্মীয় স্লোগান লেখার বিষয় নিয়ে তিনি বলেন, “জয় শ্রী রাম লেখা কপিটি আমি দেখিনি তবে এমন কয়েকটি কপি দেখেছি যেখানে পড়ুয়ারা সঠিক উত্তর না লিখেও বেশি নম্বর পেয়েছে।”