নয়াদিল্লি: ১৯৮৩ সালের ভারতের বিশ্বকাপ (World Cup 2023) জেতার পিছনে অলরাউন্ডারদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাপ্টেন কপিল দেব (Kapil Dev) একাই ফারাক গড়ে দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির (MS Dhoni) ভারতের বিশ্বকাপ জেতার পিছনেও সেই অলরাউন্ডারদের অবদান। যুবরাজ সিং, সুরেশ রায়নার মতো অলরাউন্ডাররা ব্যাটে-বলে নিজের ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১২ বছর পর আবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। এ বারও অলরাউন্ডাররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন, এমনই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। তা মাথায় রেখেই হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাডেজা, অক্ষর প্যাটেল ও শার্দূল ঠাকুরকে বিশ্বকাপের টিমে রাখা হয়েছে। বিশ্বকাপের টিম ঘোষণার একদিন পরেও কিন্তু এই অলরাউন্ডার বাছা নিয়ে বিতর্ক থামছে না। শার্দূলকে কেন টিমে নেওয়া হল, প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন কেউ কেউ। কী বলছেন তাঁরা? TV9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।
দুই স্পিনার অলরাউন্ডার, দুই সিমার অলরাউন্ডার রাখা হয়েছে ভারতের বিশ্বকাপ টিমে। শার্দূল কতটা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। শেষ ১০টা ওয়ান ইনিংসে মাত্র ৫১ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ২৫। ১০টা ম্যাচের মধ্যে বল করেছেন ছ’টাতে। নিয়েছেন মোট ১৮টা উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একটা ম্য়াচে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। বোলার হিসেবে তাঁকে টিমে রাখার তাও যুক্তি খুঁজে পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু অলরাউন্ডার হিসেবে তাঁকে কতটা গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তা বুঝতে পারছে না ক্রিকেট মহল। আর তাই বাড়ছে বিতর্ক। ওয়াশিংটন সুন্দরের মতো অফস্পিনার অলরাউন্ডারের পক্ষে জোরালো সাওয়াল করছেন তাঁরা। সেই দলে রয়েছেন কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তও। কী যুক্তি সাজাচ্ছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার?
শ্রীকান্তের মন্তব্য, ‘৮ নম্বর পর্যন্ত ভারতীয় ব্যাটিংয়ের লেজ যাতে টানা, সে দিকেই নজর দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই শার্দূলকে নেওয়া হয়েছে। আট নম্বর যাতে ও ব্য়াট করতে পারে। কিন্তু ওই জায়গায় নেমে ও মাত্র ১০ রান করছে। ঠিক মতো ব্যাটিং করে না, ঠিক মতো বোলিংও করে না। এমনকি ১০ ওভার বলও করানো হয় না ওকে। নেপালের বিরুদ্ধে দেখুন কত ওভার বল করেছে? মাত্র ৪ ওভার। জিম্বাবোয়ে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওর পারফরম্যান্স দেখলে কিন্তু চলবে না।’
এতেই থামেননি প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁর পাল্টা যুক্তি হল, ‘ও যদি পারফর্ম করে ভালো ম্যাচে, তা হলে মাথায় রাখা যায়। তা ছাড়া ওকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো টিমের বিরুদ্ধে ওর পারফরম্যান্স দেখা উচিত। সেই কারণেই বলছি, শার্দূলের ওভারঅল পারফরম্যান্স দেখে ওকে বিচার করাটা বোকামি হবে। বরং এক-একটা ম্যাচে ওর পারফরম্যান্স দেখা উচিত।’
শার্দূল ঠাকুর কিন্তু কঠিন পরিস্থিতিতে টিমের জন্য লড়াই করেছেন। সেই অতীতও ভুলে গেলে চলবে না। বল হাতে ২-৩ উইকেট, ব্যাট হাতে অল্প বল খেলে ২৫-৩০টা রান যদি নিয়মিত করতে পারেন, তা হলে কিন্তু সব সমালোচনাই থেমে যাবে।