ভারতের মাটিতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল, অ্যাসেজ সিরিজ। ফর্ম খুঁজে বেরিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছিল যে, এই সিরিজেই কার্যত ওয়ার্নারকে ‘অবসর’ দেওয়া হচ্ছিল। তিনি নিজে বারবার বলতে বাধ্য হয়েছেন, এখনই অবসর নিচ্ছেন না। সেই ডেভিড ওয়ার্নার ফর্ম খুঁজে পেলেন। উসমান খোয়াজার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ এবং বৃষ্টিতে চতুর্থ দিন ম্যাচ ও সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণ হল না। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
অ্যাসেজ আগেই নিজেদের দখলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। গত সিরিজে তারা জিতেছিল। ফলে এই সিরিজে ড্র করলেও অ্যাসেজ তাদের। প্যাট কামিন্সের নেতৃত্বাধীন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া স্বপ্ন দেখছিল ২০০১ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাসেজ সিরিজ জয়ের। প্রথম দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজে ২-০ এগিয়ে গিয়েছিল তারা। তৃতীয় ম্যাচে প্রত্যাবর্তন ইংল্যান্ডের। ম্যাঞ্চেস্টারে চতুর্থ টেস্টে বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে ইংল্যান্ড হয়তো ২-২ করে ফেলতো। ওভালে পঞ্চম টেস্টে অ্যাডভান্টেজ ছিল ইংল্যান্ডই। চতুর্থ দিনের খেলায় টুইস্ট। এখান থেকে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড কোনও এক দলের জয় এবং ড্র, সব ফলই হতে পারে।
ওভালে তৃতীয় দিনের শেষেই ইংল্যান্ডের তারকা পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড অবসর ঘোষণা করেন। দিনের শুরুতে জিমি অ্যান্ডারসনের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নামার সময় ব্রডকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। মনে হয়েছিল, চতুর্থ দিনই খেলা শেষ হয়ে যাবে। ব্রড-অ্যান্ডারসন জুটি আরও কিছুটা রান যোগ করে। কেরিয়ারের শেষ খেলা ডেলিভারিতে পেল্লাই ছক্কা হাঁকান ব্রড। ৮ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার জন্য চতুর্থ ইনিংসে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৮৪ রান। ওভালে কখনও এই রান তাড়া হয়নি। টেস্টের নিরিখে যথেষ্ঠ বড় টার্গেট। উসমান খোয়াজা-ডেভিড ওয়ার্নারারের সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়া স্বপ্ন দেখছে এই রান তাড়ায়।
বৃষ্টির কারণে এ দিন মাত্র ৪০ ওভার খেলা হল। এর মধ্যে ৩৮ ওভার খেলার সুযোগ পেল অস্ট্রেলিয়া। বিনা উইকেটে ১৩৫ রান তুলে নিয়েছে তারা। ওয়ার্নার-খোয়াজা দু-জনেই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। ৫৮ রানে ক্রিজে ওয়ার্নার। খোয়াজা খেলছেন ৬৯ রানে। ওভালে শেষ দিন অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন আরও ২৪৯ রান।