India vs England 2nd ODI: লর্ডসে ১০০ রানে বিধ্বস্ত মেন ইন ব্লু, সিরিজে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড
লর্ডসে ১০০ রানের বড় ব্যবধানে হার ভারতের। সিরিজ ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফেরাল ইংল্যান্ড। ছয় উইকেট নিয়ে ছারখার করে দিলেন ইংল্যান্ডের ছয় ফুট ৭ ইঞ্চির পেসার।
ইংল্যান্ড ২৪৬ (৪৯ ওভার)
ভারত ১৪৬ (৩৮.৫ ওভার)
লন্ডন: কেনিংটন ওভাল সাক্ষী ছিল জসপ্রীত বুমরার দাপটের। লর্ডস দেখল বাঁ হাতি পেসার রিস টপলির দাপট। ছয় উইকেট নিয়ে বিশ্বজয়ের মাঠে ওয়ান ডে ফরম্যাটে রেকর্ড গড়লেন পাঁচ ফুট ৭ ইঞ্চির পেসার। আর তাতেই ছারখার ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ। লর্ডসে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল ভারত। গ্যালারিতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকর, মহেন্দ্র সিং ধোনিরা মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হতাশ হতে হল তাঁদের। ভারতীয় ক্রিকেটের সেরার সেরাদের সামনে ব্যাটিংয়ে বিরাট বিপর্যয় ভারতের। ক্রিকেটের মক্কায় ১০০ রানে বড় ব্যবধানে হারল রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং। সিরিজে সমতা ফেরালেন জস বাটলাররা। রবিবাসরীয় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ম্যাচটাই ‘ফাইনাল’।
ওভালে বুমরা ঝড়ে কাত হওয়ার পর লর্ডসে সাবধানী শুরু জেসন রয়, জনি বেয়ারস্টোদের। ৮.৫ ওভারে জুটিতে ভাঙন ধরান হার্দিক পান্ডিয়া। ৩৩ বলে ২৩ রান করে ফেরেন রয়। এরপর বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে শুরু হয় চাহালের ঘূর্ণি ঝড়। ইংরেজ ওপেনারকে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে ফেরান। এরপর ভারতীয় লেগ স্পিনারের শিকার বিপক্ষ দলের দুই তারকা ব্যাটার জো রুট এবং বেন স্টোকস। একই কায়দায় দু’জনকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেললেন। রুট এবং স্টোকসের মাঝে ইংরেজ দলনায়ক বাটলারকে ফেরান মহম্মদ সামি। তখন সবে একশোর গণ্ডি পার করেছে ইংল্যান্ড। খুইয়েছে পাঁচ উইকেট। মাঝে খানিকটা হড়কে গেলেও লিয়াম লিভিংস্টোন (৩৩), মইন আলি(৪৭) ও ডেভিড উইলির (৪১) মিলিত প্রয়াসে ২৪৬ রান ওঠে ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে। অর্ধশতরানের দোরগোড়া থেকে মইনকে ফেরান সেই চাহাল। শেষদিকে উইলির ব্যাটে ৪১ রান ইংল্যান্ডকে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছতে সাহায্য করে। চাহালের ঝুলিতে চারটি উইকেট। দুটি করে উইকেট বুমরা ও হার্দিকের।
England win the second #ENGvIND ODI. #TeamIndia will look to bounce back in the series decider on Sunday. ? ?
Scorecard ???? https://t.co/N4iVtxbNBF pic.twitter.com/9pjXrRktJH
— BCCI (@BCCI) July 14, 2022
২৪৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নেমে রোহিতের উইকেট হারিয়ে প্রথমেই ধাক্কা খায় ভারত। শূন্য রানে আউট হলেন রোহিত। এরপর একে একে মাঠ ছাড়েন শিখর ধাওয়ান, বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ। মাত্র ৩১ রানে ৪ উইকেট খোয়ায় ভারত। ম্যাচে যাঁর দিকে সব নজর, সেই কোহলির ব্যাটে এদিনও দেখা দিল না রান। দলকে ভরসা দিতে পারলেন না প্রাক্তন অধিনায়ক। ২৫টি বল খেলে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬ রানে ফেরেন। বিরাট ব্যাটের নীরবতা আর কবে ভাঙবে? হতাশ অনুরাগীরা।
এরপর সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ সামিরা দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করলেন। কিন্তু কেউই সেভাবে সফল হতে পারলেন না। শেষ টি-২০তে শতরানকারী সূর্য আগ্রাসী শুরু করেও লর্ডসের মাঠে ঠিক সুবিধে করে উঠতে পারলেন না। ২৭ রানে ফেরেন তিনি। ২টি উইকেট নেওয়া হার্দিককে ফেরেন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। সামির অবদান ২৩ রান। জাডেজা ফেরার পর ভারতের লেজ গোটাতে বেশি সময় লাগেনি ইংল্যান্ডের। ছয় উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা রিস টপলি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ইংল্যান্ড ২৪৬ (মইন আলি ৪৭, যুজবেন্দ্র চাহাল ৪-৪৭, হার্দিক পান্ডিয়া ২-২৮)। ভারত ১৪৬ (হার্দিক পান্ডিয়া ২৯, রিস টপলি ৬-২৪)।