সমতা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির মুখে একই কথা। কীসের সমতা চান! তা পরিষ্কার নয়। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বাকি মাত্র তিন মাস। কিন্তু টুর্নামেন্ট কোথায় হবে, এর কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। আইসিসি বোর্ড মেম্বারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংও করেছে। কিন্তু পরিস্থিতি যেন ছোট গল্পের মতো। শেষ হইয়াও হইল না শেষ…। দুবাইতে চলছে অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ। এ দিন মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিলেন পিসিবি প্রধান মহসিন নাকভি। বলছেন একরকম, কিন্তু কাজ হচ্ছে কোথায়!
আইসিসির বর্তমান চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলের মেয়াদ শেষ আজ। রবিবার অর্থাৎ ১ ডিসেম্বর দায়িত্ব নেবেন জয় শাহ। এর জন্যই কি আর ঢিলেমি করছেন মহসিন? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাচ্ছেন না। আইসিসির তরফে বারবার বলা সত্ত্বেও মুখে এক, কাজে অন্য। মহসিন নাকভি একাধারে বলছেন, ‘ক্রিকেটের স্বার্থে যা প্রয়োজন আমরা সব করব। আমরা যদি কোনও ফর্মুলা মেনে নিই, সেটাতেও সমতা থাকা উচিত।’
ক্রিকেটের স্বার্থে যদি সব করতে রাজিই থাকেন, তা হলে হাইব্রিড মডেলে নয় কেন? আইসিসিকে একঝাঁক শর্ত দেওয়াই বা কেন! সমতা! সেটাও কি সম্ভব? আইসিসির আয়ের বেশির ভাগ আসে ভারতীয় ক্রিকেটের সৌজন্যে। এরপর অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড বোর্ড। ক্রিকেটে যাদের বিগ থ্রি বলা হয়ে থাকে। ভারতকে ছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সম্ভব নয়, তিনি নিজেও ভালো করে জানেন। ব্রডকাস্টার, স্পন্সর সব দিক থেকেই ব্যাকফুটে থাকতে হবে। তেমনই নিরাপত্তা নিয়ে গ্যারান্টি দেওয়ার মতো ক্ষমতাও তাঁর নেই। পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিও স্বস্তির নয়।
দুবাইতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখার পাশাপাশি আরব আমির শাহি ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গেও দেখা করেন। সম্ভবত হাইব্রিড মডেল নিয়েই প্রস্তুত থাকার জন্য। ইংল্যান্ড বোর্ডের কর্তার সঙ্গেও কথা বলেন মহসিন। কিন্তু সমাধানসূত্র কিছু বেরোয়নি। আইসিসি মিটিংয়ের পরও পরিস্থিতি যেই তিমিরে, সেই তিমিরেই রয়েছে।