AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিশ্বকাপ জয় কেরিয়ারের সেরা মুহূর্ত, বলছেন সচিন

আনঅ্যাকাডেমির এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের সবথেকে সেরা দিনের কথা বলতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)।

বিশ্বকাপ জয় কেরিয়ারের সেরা মুহূর্ত, বলছেন সচিন
ফাইল চিত্র
| Updated on: May 17, 2021 | 3:02 PM
Share

নয়াদিল্লি: সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) ক্রিকেটের ঈশ্বর। অনেকের অনুপ্রেরণা। ২৪ বছরের কেরিয়ারে তিনি গড়েছিলেন একের পর এক রেকর্ড। বিশ্বজয়ী সচিনে আজও মুগ্ধ গোটা দুনিয়া। মাস্টার ব্লাস্টারের কাছে ক্রিকেটের সেরা দিন ছিল ২০১১ সালের বিশ্বকাপ (2011 World Cup) জেতার দিনটি। আনঅ্যাকাডেমির এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের সবথেকে সেরা দিনের কথা বলতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর।

মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) হারিয়ে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত কোনওদিন ভোলার নয়। ভোলেননি লিটল মাস্টারও। তিনি বলেছেন, “১৯৮৩ সালে আমি যখন কপিল দেবকে বিশ্বকাপ হাতে তুলতে দেখেছিলাম, তখন এক অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে উদযাপন করেছিলাম এবং তখন থেকেই আমি আমার স্বপ্নকে তাড়া করতে চেয়েছিলাম। আমি ঠিক করেছিলাম বিশ্বকাপ তোলার স্বপ্ন আমাকে যে কোনওভাবেই সফল করতে হবে। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে যেদিন সেই স্বপ্ন পূর্ণ হল, তা আমার কাছে একেবারে অবিশ্বাস্য ছিল। সেই দিন ছিল আমার ক্রিকেট কেরিয়ারের সেরা দিন। কয়েক বারই পুরো দেশ এই সব কারণে উদযাপন করে, সে বারও পুরো দেশ বিশ্বকাপ জয়ের সেলিব্রেশনে মেতেছিল।”

তবে সেদিনের আর একটি ঘটনা এখনও মনে করেন সচিন। তাঁর কথায়, “ওই জয়ের পাশাপাশি আমার একটা ঘটনা মনে পড়ে, বিরাট ও ইউসুফ পাঠান যখন কাঁধে আমাকে তুলেছিল আমি ওদের বলেছিলাম আমাকে ফেলে দিও না। সেদিন শুধু ভারতীয় দল বিশ্বকাপ জেতেনি। পুরো দেশ বিশ্বকাপ জিতেছিল।”

রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজে খেলার পর, মার্চ মাসে করোনায় (COVID-19) আক্রান্ত হন সচিন তেন্ডুলকর। সুস্থ হয়ে ওঠার পর সকলকে আরও বেশি সচেতন থাকার বার্তা দেন তিনি। ওই সাক্ষাৎকারে করোনার ব্যাপারে লিটল মাস্টার বলেছেন, “আমরা এক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, পুরো চিকিৎসা বিভাগকে ধন্যবাদ জানালেও কম হয়। বিনা অভিযোগে তারা আমাদের প্রান বাঁচাচ্ছে, অনেক মানুষের সাহায্য করছে। কেউ বলে না আজ আমরা কাজ করার মত অবস্থায় নেই, তারা আমাদের প্রান বাঁচানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাদের সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।”

এই কঠিন সময়ে সকলকে ইতিবাচক থাকার আর্জি জানাচ্ছেন সচিন। তিনি বলেছেন, “যখন আমার করোনা ধরা পড়ে, বাড়ির সকলে আমাকে ইতিবাচক থাকার জন্য সাহায্য করেছিল। সকলের জন্যই এটা কোনও চ্যালেঞ্জের থেকে তম নয়। কিন্তু আমাদের সকলকে ইতিবাচক থাকতে হবে। সকলের প্রতি আমার বার্তা রইলো, নিউ নরম্যালকে মেনে চলার। হাত পরিস্কার রাখতে হবে, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।”

করোনা কালে অনেকে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তাদের প্রতি সচিনের বার্তা, “মানুষকে এখন অনেক মানসিক চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যখন শারীরিক চ্যালেঞ্জ হয়, সেখানে ফিজিও এবং চিকিৎসকরা থাকে এবং তারা মানুষকে সাহায্য করে। মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও একই কাজ দরকার। যে কোনও ব্যক্তির জীবনেই উত্থান-পতন আসবে। মানুষকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। চারপাশে কোনও ভুল হলে সেটা মেনে নিতে হবে। ভুলটা স্বীকার করলেই সমধানের পথ বেরিয়ে আসবে।”

আরও পড়ুন: আইপিএলে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন সামি