নয়াদিল্লি: তবে কি এ বার মার্কিন মুলুকে পাড়ি দিলেন অনুর্ধ্ব-১৯ (U-19) বিশ্বকাপজয়ী উন্মুক্ত চন্দ (Unmukt Chand)? ২০১২-র অনুর্ধ্ব বিশ্বকাপজয়ী দলের নেতা ও তাঁর দলের অন্যান্য কয়েকজন সদস্য কেরিয়ার গড়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে গেছেন। এমনটাই দাবি করেছেন প্রাক্তন পাক-ক্রিকেটার সামি আসলাম। ২০১২ সালে উন্মুক্তের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়াকে (Australia) হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত (India)। তখন ক্রিকেট মহলে রীতিমত চর্চায় উঠে আসেন উন্মুক্ত চন্দ, স্মিত প্যাটেলের মত ক্রিকেটাররা। ক্রীড়ামহলে কান পাতলে এমন পর্যন্ত বলতে শোনা যেত, এই দলের সদস্যরাই ভারতীয় দলের ভবিষ্যৎ হয়ে উঠবে। কিন্তু কোথায় কি? একে একে হারিয়ে যেতে থাকলেন ২০১২ সালের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটাররা। ধারাবাহিকতার অভাব তাঁদের কেমন যেন কোণঠাসা করে দিতে লাগল। আইপিএলের মঞ্চে সুযোগ পেয়েও তা ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারেননি উন্মুক্ত।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার সামি আসলাম বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর ক্রিকেট লিগে (American T20 league) অংশগ্রহণ করবেন। সেই সুবাদে মার্কিন মুলুকেই রয়েছেন তিনি। আসলাম দাবি করেছেন, “৩০-৪০ জন ক্রিকেটার সদ্য আমেরিকায় এসেছেন। উন্মুক্ত চন্দ, স্মিত প্যাটেল ও হরমিত সিংসহ কয়েকজন অনুর্ধ্ব-১৯ ভারতীয় দলে খেলা ক্রিকেটারও সেই তালিকায় রয়েছেন। এ ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক ক্রিকেটারও এখানে এসেছেন। যারা নিজেদের দেশে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন। নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অল রাউন্ডার কোরি অ্যান্ডারসনও আছেন।”
তবে উন্মুক্ত কিন্তু আসলামের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমি আমার আত্মীয়দের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলাম। একথা ঠিক আমি সেখানে ছিলাম। তখন আমি সেখানে অনুশীলনও করেছি। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খেলার মত কোনও ভাবনা চিন্তা করিনি। আমার কাছে এই সফরটি অবসরে ভ্রমণের থেকে বেশি কিছুই নয়।” বিসিসিআইয়ের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ভারতীয় ক্রিকেটারকে চুক্তিবদ্ধ বা চুক্তি না থাকলেও, অবসর ঘোষণার আগে দেশের বাইরে কোনও ধরণের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার অনুমতি দেওয়া হয় না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাকি যে কোনও ক্রিকেটারদের আকৃষ্ট করে। এমন দাবিও করেছেন আসলাম। তিনি বলেছেন, “এখানকার প্রশিক্ষকরা খুবই সহযোগিতা করেন। প্রত্যেক ক্রিকেটারদের সুযোগ দেন তাঁদের প্রমাণ করার।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সামি আসলাম পাকিস্তানের হয়ে ওপেনিং করতেন। পাক ক্রিকেটে তাঁকে নাকি গুরুত্ব দেওয়া হত না। তাই তিনি সেখান থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাকাপাকি থাকার ও কেরিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।