নয়াদিল্লি: দেখতে দেখতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ পা দিচ্ছে ১৬ বছরে। আইপিএল (IPL) ঘিরে একাধিক আকর্ষণীয় গল্প রয়েছে। অতীতের পাতায় চোখ রাখলে তেমনই কিছু গল্পরা ভিড় করে। আইপিএল মানেই চার-ছক্কার বন্যা। কখনও হ্যাটট্রিক, কখনও ফাইফার, কখনও আবার শেষ বল অবধি টানটান লড়াই উপভোগ করে ক্রিকেট প্রেমীরা। অতীতে এই সকলের সঙ্গে আইপিএল প্রেমীরা উপভোগ করতে পারত চিয়ারলিডারদের নাচও। আইপিএল শুরু হওয়ার সময় প্রত্যেক দলের আলাদা আলাদা চিয়ারলিডার (Cheerleader) থাকত। তাঁরা দলের সাফল্যে নাচ করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করত। বর্তমানে আর চিয়ারলিডাররা আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত নন। স্মৃতির পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায়, আইপিএলে এমন এক ক্রিকেটার অতীতে খেলেছিলেন, যাঁর বোন ছিলেন এক দলের চিয়ারলিডার। TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে ফিরে দেখা যাক সেই গল্প।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন তারকা জ্যাক কালিস আইপিএলের প্রথম মরসুম থেকেই এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শুধু তিনি নন, তাঁর বোনও আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অবাক হচ্ছেন? আসলে জ্যাক কালিসের বোন জেনিন কালিস এক সময় ছিলেন আইপিএলের চিয়ারলিডার। ২০০৯ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের জন্য আইপিএল সে বার দেশে হয়নি। তার বদলে আইপিএলের আসর বসেছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। সে বারই জ্যাক কালিসের বোনকে আইপিএলের চিয়ারলিডার হিসেবে দেখা গিয়েছিল। তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের চিয়ারলিডার গ্রুপে ছিলেন। অন্যদিকে তাঁর দাদা জ্যাক কালিস সে বার ছিলেন আরসিবি শিবিরে।
সেই মরসুমে দেখা গিয়েছিল এক বিরল দৃশ্য। দাদা আউট হয়ে একদিকে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, অন্যদিকে বোন সেলিব্রেট করছেন। দাদা জ্যাক কালিস আউট হওয়ায় হতাশ হননি বোন জেনিন। বরং তিনি পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। আরসিবির কালিস আউট হতেই এক মুখ হাসি নিয়ে সিএসকের চিয়ারলিডার জেনিন মঞ্চে উঠে নেচেছিলেন।
কালিস অবশ্য বোনের নাচ দেখে হতাশ হননি। এই প্রসঙ্গে কালিস বলেন, “ছেলেবেলা থেকেই জেনিনের নাচের প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল। চেন্নাই সুপার কিংসে ও সুযোগ পেয়েছিল। ওর জন্য আমার পুরো পরিবার গর্বিত। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে সে দিন আমি আউট হওয়ার পরে জেনিন খুব ভালো নেচেছিল। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ওই ঘটনার পরে যখনই খেলতে নামতাম, আরও সতর্ক হয়ে যেতাম।”
বর্তমানে জ্যাক কালিস আর আইপিএলে খেলেন না। তাঁর বোনও এখন আর আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত নন। তবে রয়ে গিয়েছে দাদা-বোনের এই বিশেষ গল্প।