নয়াদিল্লি: বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীরের মাঝে তিক্ততা নতুন নয়। বিরাটকে কোনও দিনই সেভাবে পছন্দ করেন না গম্ভীর। তবে এ বার সেই গম্ভীরের মুখেই শোনা গেল বিরাটের গুণগান। বিশ্বকাপের প্রথম ম্য়াচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুরন্ত ইনিংস খেলেন বিরাট। এরপরই রাতারাতি সকলের নয়নের মণি হয়ে ওঠেন কোহলি। আজীবন যাঁর সঙ্গে তিক্তরার সম্পর্ক, সেই গম্ভীরও প্রশংসা করতে ভুললেন না বিরাটের। কোহলিকে দেখে নতুন প্রজন্মের শেখা উচিত, বলেই মনে করেন গম্ভীর। বিরাট কে নিয়ে আর কী বলছেন তিনি? TV9 Bangla Sports-এর প্রতিবেদনে বিস্তারিত।
বিরাটের সঙ্গে গম্ভীরের সম্পর্কটা শুরুতে এমন ছিল না যদিও। কোহলির আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেকের দিন প্লেয়ার অফ দ্য় ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছিলেন গম্ভীর। সেই পুরস্কার তিনি কোহলির হাতে তুলে দেন। ঝামেলার সূত্রপাত ২০১৩ সালের আইপিএল থেকে। তখন গম্ভীর কেকেআরের ক্যাপ্টেন ও বিরাট আরসিবির।এক ম্যাচ চলাকালীন কোহলি ও গম্ভীরের মধ্যে শুরু থেকেই একটু ঠান্ডা লড়াই চলছিল, কোহলি আউট হতেই গম্ভীর তাঁকে উদ্দেশ্য় করে কিছু বললেই বেঁধে যায় ঝামেলা। এটাই শেষ নয় এর পরও আইপিএলের মঞ্চে আবারও ঝামেলায় জড়ান দুই তারকা। আগের আইপিএলে আফগান পেসার নবীন উল হকের সঙ্গে কোহলির ঝামেলার মাঝেও ঢুকে পড়েন নবীনদের মেন্টর গম্ভীর। এক কথায় দিল্লির দুই রত্ন কোহলি ও গম্ভীরের সম্পর্কের সমীকরণ মোটে ভালো নয়।এ বার সেই গম্ভীরের মুখেই বিরাটের প্রশংসা! যা শুনে অবাক অনেকেই।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিার বিরুদ্ধে কোহলির দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের পর গম্ভীরকে বলতে শোনা যায়,
“কোহলিকে দেখে পরবর্তী প্রজন্মের শেখা উচিত কীভাবে চাপ সামলাতে হয়।” শুধু তাই-ই , আরও বলেন,”ক্রিকেট মানেই শুধু ছক্কা, চারের খেলা নয়। স্কোর বোর্ড সচল রাখতে হবে, রানের পর রান নিতে হবে তাতেই যথেষ্ট না। অতিরিক্ত চাপ একেবারেই নেওয়া যাবে না। বিরাট সেটা শিখিয়ে দিল। বাকিদের ওকে দেখে শেখা উচিত।” গম্ভীরের সংযোজন, “বিরাট দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে খেলাটা বুঝতে হয়। রান তাড়া করতে নেমে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হলে কীভাবে শান্ত থেকে চাপটা সামলে দেওয়া যায়। আত্মবিশ্বাস রাখতে হয়। বিরাটের মধ্যে সেটা ছিল।” গম্ভীরের মুখে এত প্রশংসা শুনে ক্রিকেট মহলের অবশ্য প্রশ্ন, তবে কি মিটল ঠান্ডা লড়াই?