নেহরাজি। গুজরাট টাইটান্সে তাঁর কথা খুব চলে। ম্যাচের মাঝেও সেটাই দেখা যায়। যেন নন প্লেয়িং ক্যাপ্টেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ২০২২ সালে আত্মপ্রকাশ হওয়া নতুন দুই দলের একটি গুজরাট টাইটান্স। প্রথম মরসুমেই চ্যাম্পিয়ন। এর নেপথ্যে আশিস নেহরার মস্তিষ্কও। দ্বিতীয় বার রানার্স। গত মরসুমে অবশ্য প্লে-অফে জায়গা করে নিতে পারেনি টাইটান্স। আবহাওয়াও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাদের। এ বার অকশনে দুর্দান্ত টিম করল গুজরাট টাইটান্স! বলাই যায়। একদিকে যেমন বিধ্বংসী ওপেনার পাওয়া গিয়েছে, তেমনই দুর্দান্ত পেসার। স্পিন বোলিং অলরাউন্ড। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের মধ্যেও প্রতিভাবান প্লেয়ারদের নিয়েছে টাইটান্স।
গুজরাট টাইটান্স এ বার রিটেন করেছিল তাদের ক্যাপ্টেন শুভমন গিল সহ অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার রশিদ খানকে। সঙ্গে সাই সুদর্শন, যিনি গুজরাট টাইটান্সে এক ম্যাচে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নেমে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর নিয়মিত সদস্য হয়ে ওঠেন। পাশাপাশি রাখা হয়েছিল দুই আনক্যাপড প্লেয়ার রাহুল তেওয়াটিয়া এবং শাহরুখ খানকে। রাহুল যে কোনও সময় ম্যাচের রং বদলে দেওয়ার মতো ক্ষমতা রাখেন। সেটা বোলিংয়ে হোক বা ব্যাটিংয়ে। শাহরুখ খান ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্যতম সেরা ফিনিশার। আইপিএলেও নিজের এই দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।
আইপিএলের মেগা অকশনে গুজরাট টাইটান্সের সেরা তিন বিদেশি ক্রয় বলা যেতে পারে জস বাটলার, মহম্মদ সিরাজ, কাগিসো রাবাডাকে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাটলার কতটা ভয়ঙ্কর এ বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। সঙ্গে কিপারও। ব্যাক আপ কিপার প্রয়োজন হলে গ্লেন ফিলিপস সেই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, আর ভারতীয়দের মধ্যে অনুজ রাওয়াত ও কুমার কুশাগ্র। মহম্মদ সিরাজ আরসিবি বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা ছিলেন। এ বার টাইটান্সে নজর কাড়ার পালা। আশিষ নেহরার সান্নিধ্যে নিজেকে আরও শক্তিশালী করতে পারবেন। কাগিসো রাবাডা বিশ্বের অন্যতম সেরা পেসার। সঙ্গে ভারতীয় তরুণ পেসার প্রসিধ কৃষ্ণ এবং অভিজ্ঞ ইশান্ত শর্মা। প্রতিভা,অভিজ্ঞতা, তারুণ্য সব মিলিয়ে দুর্দান্ত টিম।
গুজরাট টাইটান্স যাঁদের অকশনে নিল…