বর্ণময় কেরিয়ার। নানা রেকর্ড। তিন ফরম্যাটেই বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটারের তকমা। সবই যেন এখন ফিকে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ক্লিনসুইপ হয়েছে ভারত। সিনিয়র ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স স্ক্যানারে। এর মধ্যে রয়েছেন কিংবদন্তি বিরাট কোহলিও। বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। সদ্য ঘরের মাঠে জোড়া সিরিজ খেলেছে ভারত। সব মিলিয়ে ৫টি টেস্ট। এই ১০ ইনিংসে বিরাট কোহলির সর্বাধিক স্কোর ৭০। সেটা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে। আর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি ৪৭ রানের ইনিংস ছিল। এ ছাড়া আর উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স নেই। বিরাটের ফর্ম নিয়ে নানা প্রশ্ন। পাশে দাঁড়ালেন বিশ্বজয়ী ওপেনার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত।
কেরিয়ারে ১১৮ টেস্ট, ৯০৪০ রান। এত সুন্দর কেরিয়ারের মাঝে প্রায় আড়াই বছর এমন খারাপ সময় কাটিয়েছেন বিরাট কোহলি। এখন কেরিয়ারের সায়াহ্নে। বিরাটের শেষ টেস্ট সেঞ্চুরি ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। শেষ ৬টি টেস্টে তাঁর ব্যাটিং গড় ২২.৭২! যা একেবারেই কিং কোহলিসুলভ নয়। ৮৩’র বিশ্বজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত অবশ্য প্রত্যাশা করছেন এখনও কামব্যাকের সময় রয়েছে বিরাট কোহলির। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শ্রীকান্ত বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই দুর্দান্ত খেলতে শুরু করবে বিরাট। ওর প্রিয় জায়গা। ওটাই ওর শক্তি। এখনই বিরাটকে ছাড়া ভবিষ্যতের চিন্তা না করাই ভালো। আমি অন্তত সমর্থন করি না।’
সামনেই বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। ডনের দেশে এ বার পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিরাট কোহলির পারফরম্যান্স প্রশংসনীয়। ২৫ টেস্টে ৪৭.৪৮ গড়ে করেছেন ২০৪২। আটটি সেঞ্চুরিও রয়েছে। আর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পরিসংখ্যান আরও ভালো। ১৩ টেস্টে ৫৪.০৮ গড়ে ১৩৫২ রান। ছ’টি সেঞ্চুরি। সে কারণেই, শ্রীকান্তের বেশি প্রত্যাশা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই হয়তো বিরাটকে স্বমহিমায় দেখা যাবে! একই প্রত্যাশা ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদেরও।