India vs England: ‘বোলারকে নিয়ে ভাবিই না’, মাঠের বাইরেও ছয় ঋষভের

ইংল্যান্ডের মতো পিচে, বোলারকে বিরক্ত করা খুবই জরুরি। আমি সবসময়ই এক ধরনের খেলা না খেলার চেষ্টা করি। কখনও ব্যাকফুটে, কখনও স্টেপ আউট করে, ক্রিজ ব্যবহার করতে থাকি।

India vs England: ‘বোলারকে নিয়ে ভাবিই না’, মাঠের বাইরেও ছয় ঋষভের
Image Credit source: BCCI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 02, 2022 | 8:30 AM

বার্মিংহাম: বাকিদের কথা বাদ দেওয়া যাক। জেমস অ্যান্ডারসন (James Anderson), স্টুয়ার্ট ব্রড জুটির টেস্ট উইকেট সংখ্যা ১২০০-র বেশি। তাতে অবশ্য ঋষভ পন্থের (Rishabh) কিছু যায় আসে না। তাঁর কাজ রান তোলা। এজবাস্টনে প্রথম দিন ভারত ৯৮-৫ হয়ে যাওয়ার পর ঋষভের ব্যাটে বড় রান। মাঠের সবদিকেই বল পাঠালেন। সব মিলিয়ে ১৯ টি বাউন্ডারি এবং ৪ টি ছয়। বোলারের নাম বা পরিসংখ্যান, কোনও কিছু নিয়েই যে মাথা ব্যথা নেই, সাংবাদিক সম্মেলনে সেটাই পরিষ্কার করলেন ঋষভ পন্থ। বলছেন, ‘আমি বোলারকে নিয়ে ভাবিই না। সে কী ডেলিভারি করছে, সেটায় নজর দিই। মনে হলে মেরে দিই। আগে থেকে ভেবে রাখি না, এর বোলিংয়ে মারবো, ওর বোলিংয়ে এভাবে খেলব।‘

দ্রুত কয়েক উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ানো সহজ ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়া। ঋষভ-জাদেজা সেটাই করতে পেরেছেন। চা বিরতির আগে কিছুটা সংযমী। তারপরই নিজের স্টাইলে খেলায় মন দেন। বোলারদের পরিকল্পনা এলোমেলো করে দেন। ঋষভের কথায়, ‘আমার মনে হয়, ইংল্যান্ডের মতো পিচে, বোলারকে বিরক্ত করা খুবই জরুরি। আমি সবসময়ই এক ধরনের খেলা না খেলার চেষ্টা করি। কখনও ব্যাকফুটে, কখনও স্টেপ আউট করে, ক্রিজ ব্যবহার করতে থাকি। এটাই চেষ্টা করি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কাজে লেগে যায়। প্রতিপক্ষ কী করতে চায়, সেটা আমি ভাবি না। আমি কী করতে চাই, সেটায় নজর দিই।‘ আরও যোগ করলেন, ‘দ্রুত উইকেট হারালে কিছুটা সময় নেওয়া প্রয়োজন। চাপের মুহূর্তে একা ভাবলে, চাপ আরও বেড়ে যায়। একা কিছু না ভেবে, দলের কথা ভেবে জুটি গড়ায় মন দিই। ২০-৩০ রানের ছোট ছোট পার্টারশিপ ধরে এগিয়েছি। এর থেকেই বড় পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে। জাড্ডু ভাইয়ের সঙ্গে পার্টারশিপ নিয়েই ভাবছিলাম। আমাদের ভাবনায় ছিল, চা বিরতির আগে আর কোনও উইকেট হারাব না। চাপ অবশ্যই ছিল। আমি শুধু মারার বলের অপেক্ষা করেছি। দ্রুত কয়েক উইকেট পড়লে চাপ থাকাই স্বাভাবিক। সে সময় চাপের দিকে ফোকাস করলে আরও চাপ বাড়বে। সুতরাং, একটা প্রক্রিয়া মেনে এগনোর চেষ্টা করি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাফল্যও পাই।‘

গত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এমন পরিস্থিতিতে শতরান করেছিলেন। এজবাস্টনের ইনিংস কি তার চেয়েও ভাল? ব্রিটিশ সাংবাদিকের প্রশ্নে মাঠের বাইরেও একই মেজাজে। বলছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিটা শতরানই বড় সাফল্য। কোনটা ভাল, কোনটা খারাপ সেটা আপনারা সিদ্ধান্ত নিন। প্লেয়ার হিসেবে আমি শুধু একশো শতাংশ দিতে চাই।‘