Rinku Singh : ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন! পাশে আছেন রিঙ্কু

TV9 Bangla Digital | Edited By: তিথিমালা মাজী

May 26, 2023 | 7:41 AM

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লাখ লাখ টাকা থাকলেও সবার আগে রিঙ্কু ভেবেছেন সেইসব উঠতি প্রতিভাদের কথা, যারা তারই মতো ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

Rinku Singh : ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন! পাশে আছেন রিঙ্কু
Image Credit source: Twitter

Follow Us

কলকাতা: আইপিএলে (IPL 2023) কোটি কোটি টাকা রোজগার করা ক্রিকেটারদের মধ্যে পড়েন না তিনি। তবে যতটুকু আয় করেছেন, তা দিয়ে বিলাসবহুল জীবন কাটাতেই পারতেন। কিন্তু আলিগড়ের রিঙ্কু অন্য ধাতু দিয়ে গড়া। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লাখ লাখ টাকা থাকলেও সবার আগে রিঙ্কু ভেবেছেন সেইসব উঠতি প্রতিভাদের কথা, যারা তারই মতো ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তাঁদের স্বপ্ন সত্যি করার উদ্যোগ নিয়েছেন রিঙ্কু (Rinku Singh)। তাঁর মতো নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ক্রিকেটার হতে গিয়ে যে যে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন, তা অন্যদের সঙ্গে হতে দিতে চান না। তিনি বাধা কাটিয়ে সফল হয়েছেন। সবাই এই লড়াই লড়তে পারে না। তাই অচিরেই ঝরে যায় ক্রিকেট প্রতিভাগুলি। তাঁদেরই পাশে ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছেন রিঙ্কু। আলিগড়ে তৈরি করছেন এমন একটা হোস্টেল যেখানে থেকে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা ছেলেমেয়েরা। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।

পরিশ্রম, জেদ ও অদম্য সাহস থাকলে যে কোনও বাধা পার করা যায়। প্রমাণ করে দিয়েছেন রিঙ্কু। ক্রিকেটে পারফরম্যান্সই শেষ কথা। নয়তো বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের মতো ক্রিকেটাররা সমালোচনার শিকার হতেন না। পরিশ্রমের জেরেই রিঙ্কু আজ স্টার। ঝাড়ুদার থেকে অন্যতম সেরা ফিনিশার। কলকাতা নাইট রাইডার্স তারকা তাঁরই মতো হাজারো গরীব পরিবারের ছেলেমেয়েদের প্রেরণা। তাঁদের স্বপ্নকে উসকে দিতে উদ্যোগ নিয়ে ফেলেছেন রিঙ্কু। আলিগড়ের মহুয়া খেদা স্টেডিয়ামে তৈরি হচ্ছে ক্রিকেটারদের হোস্টেল। পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েরা এখানে থাকার পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ পাবে। ১০০ ছাত্রের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম বারই হোস্টেল তৈরিতে ২০ লাখ টাকা দান করেছেন রিঙ্কু। খুব শীঘ্রই তৈরি হয়ে যাবে হোস্টেল।

রিঙ্কু বলেছেন, “অর্জুন সিং নামে এক দাদার জমি ছিল। তাই ওখানেই হোস্টেল তৈরির পরিকল্পনা করি। যারা আলিগড় থেকে দূরে থাকে তারা এখানে এসে থাকতে পারবে। শুধু ক্রিকেটারদের জন্যই নয়, সিলেক্টরদের কথা ভেবে ঘর তৈরি করা হচ্ছে। যদি কোনও সিলেক্টর ম্যাচ দেখতে আসেন তাঁরা এখানে থাকতে পারবেন। আমি প্রথমেই ২০ লাখ টাকা দিয়েছি। বাচ্চাদের এতে সাহায্য হবে। অতীত জীবনে আমি প্রচুর বাধার সম্মুখীন হয়েছি। চাই না উঠতি প্রতিভারা কোনও রকমভাবে বঞ্চিত হোক। “

Next Article