কলকাতা: আর সমঝোতা নয়, আর কোনও অবস্থায় নতিস্বীকার নয়। পাকিস্তান (Pakistan) এ বার গলা তুলল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy 2025) ইস্যুতে ওয়াঘার এপার ওপারের যুদ্ধ নতুন করে শুরু হয়েছে। গত এক দশক ধরে যে ‘স্টান্স’, ভারত সেখান থেকে এক চুলও সরতে নারাজ। শুধু ক্রিকেট নয়, পাকিস্তানে কোনও খেলার দলকেই পাঠাতে নারাজ ভারত সরকার। আর ভারতের এই অনমনীয় মনোভাবই পাকিস্তানকে চরমপন্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, এমনই দাবি পাক সরকারের। শুক্রবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কোথায় হবে, তা নিয়ে বৈঠক আইসিসিতে। শোনা যাচ্ছে ভারতকে টুর্নামেন্টের অংশ করতে পাকিস্তানের বদলে অন্য কোনও দেশে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হতে পারে। প্রাথমিকভাবে আইসিসি হাইব্রিড মডেলের বিকল্প দিয়েছিল। পাকিস্তান তাও মানতে চায়নি। এই পরিস্থিতিতে পাক ক্রিকেট বোর্ড সরাসরি যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিল।
পিসিবির চিফ মহসিন নকভি যুক্তি তুলে ধরেছেন, পাকিস্তান যদি ভারতে গিয়ে খেলতে পারে, তা হলে ভারত কেন পাকিস্তানে আসবে না? সাম্প্রতিক অতীতে দু’তিন বছরের হিসেব ধরলে ভারতীয় টেনিস টিম ডেভিস কাপ খেলার জন্য দু’বার পাক সফর করেছে। সে যুক্তি অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ক্ষেত্রে কাজ করছে না। মহসিন যে কারণে বলছেন, ‘একতরফা কিছু হতে পারে না। যা হবে দু’তরফা। আমরা ভারতে গিয়ে খেলতে পারি আর ভারত আমাদের দেশে খেলতে আসবে না, সেটা হতে পারে না। পিসিবি চেয়ারম্যান হিসেবে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেই দায়িত্ব পালনে কখনও বিচ্যুত হইনা। যে কারণে আইসিসির সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগে আছি। চেয়ারম্যানের সঙ্গে বার বার কথা হচ্ছে। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত খুব স্পষ্ট করে জানিয়েছি।’
ব্যাপারটা এখানেই শেষ করছেন না পিসিবি চেয়ারম্যান। মহসিন নকভি বিসিসিআইয়ের উপর পাল্টা চাপ খেলার চেষ্টা করছেন। আরও ভালো করে বললে, বোর্ড সচিব জয় শাহর উপর এখন থেকেই চাপ তৈরি করতে চাইছেন। মহসিন বলছেন, ‘জয় শাহ ডিসেম্বরে আইসিসির দায়িত্ব নেবে। আমি নিশ্চিত তখন আইসিসির স্বার্থই উনি দেখবেন। বিসিসিআই থেকে সরে যাওয়ার পর আইসিসিকে দেখাটাই ওঁর কাজ হওয়া উচিত।’ মহসিন নকভির এই কথায় এক অন্য ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ১ ডিসেম্বর থেকে আইসিসির চেয়ারম্যান পদের দায়িত্ব সামলাবেন জয়। ঘটনাচক্রে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভেনু নির্বাচন ২৯ নভেম্বর করে ফেলা হচ্ছে। মহসিন সরাসরি না বললেও ঘুরিয়ে বোঝাতে চাইছেন, বোর্ড সচিব থাকাকালীনই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জটিলতা কাটিয়ে ফেলতে চাইছেন জয়। যাতে আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে ভারতের স্বার্থের সংঘাতে তাঁকে পড়তে না হয়।