ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আলোচনায় এখন আম্পায়ারিং। নানা বিষয়েই প্রশ্ন উঠছে। রবিবার ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন বিরাট কোহলি। দুটি ছয় ও একটি বাউন্ডারি মেরে বিরাট বিনোদন শুরু করেছিলেন ইডেনের গ্যালারিতে। চিন্তা বাড়ছিল কেকেআর শিবিরে। বোর্ডে ২২২ রানের পুঁজিও সুরক্ষিত নয়। বিরাটের উইকেট খুবই প্রয়োজন। এমন সময়ই একটা ফুলটসে আউট বিরাট।
বিরাট কোহলি ক্রিজ ছেড়ে কিছুটা এগিয়ে খেলছিলেন। নতুন বলের সুইং আটকাতে ব্যাটাররা এই পন্থা নিয়ে থাকেন। হর্ষিত রানার স্লো ফুলটস কোমরের উপর আসে। হঠাৎ এমন একটা ডেলিভারিতে বিরাট যে চমকে গিয়েছিলেন, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। কোনও রকমে বুকের সামনে ব্যাট পেতে দেন। যার ফলে ক্যাচ ওঠে। বোলার হর্ষিত রানার কাছে সহজ ক্যাচ। এই ডেলিভারি নো ছিল কিনা, এই নিয়ে নানা বিতর্কই চলছে। দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রশ্ন তুলছেন, বলটা যদি স্লোয়ার না হত?
এ বারের আইপিএলে ডিআরএসের ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্তের জন্য স্মার্ট রিপ্লে টেকনোলজি ব্যবহার করছে বোর্ড। বিরাটের ক্ষেত্রে হর্ষিতের ডেলিভারির উচ্চতা মাপার জন্য হক আই টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়। সেই অনুযায়ী দেখা যায় বলটি স্লোয়ার হওয়ায় ডিপ করছিল। বিরাট ক্রিজ ছেড়ে এগিয়ে না থাকলে কোমরের উচ্চতার মধ্যেই থাকতো। প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিং সেটাই বিশ্লেষণ করেছেন।
ভাজ্জির মতে, ‘বিরাট যে ডেলিভারিতে আউট হয়েছে, নিঃসন্দেহে সেটি উঁচু ছিল। তবে এটি কিন্তু স্লোয়ার ডেলিভারি ছিল। এটা কেন নো বল নয়, এ নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হচ্ছে। কারণ, বলটা কোমরের উচ্চতার বেশি ছিল। বিরাট ক্রিজের বাইরে দাঁড়িয়েছিল। হক আই পপিং ক্রিজ থেকে বিচার করেছে। এ বছর বিসিসিআই প্রতিটা প্লেয়ারের উচ্চতা নিয়েছে। সেই অনুযায়ীই এই সিদ্ধান্ত।’ হরভজন আরও যোগ করেন, ‘বলটা ডিপ করছিল কারণ এটা স্লোয়ার ছিল। এটার গতি বেশি থাকলে তা হলে হয়তো ডিপ করতো না এবং নো বলই হত।’