আমেদাবাদ : সারাদিনে ভারতের তিন উইকেট নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দুটির ক্ষেত্রে টেনিসের ভাষায় ‘আনফোর্সড এরর’ বলা যায়। শুভমন গিলের উইকেটের ক্ষেত্রে, মনসংযোগে ব্য়াঘাত। শতরানকারী শুভমনের উইকেটই নিয়েছেন নাথান লিয়ঁ। সব মিলিয়ে ভারতের প্রথম ইনিংসে ৩৭ ওভার বল করে ১টা উইকেট নাথান লিয়ঁর ঝুলিতে। গত ম্য়াচের পারফরম্য়ান্স ধরলে, খুবই হতাশার। গত তিন ম্য়াচে স্পিন সহায়ক পিচ নিয়ে প্রচুর হইচই হয়েছে। ইন্দোরের পিচকে আইসিসিও খারাপ রেটিং দিয়েছে। আমেদাবাদে উইকেটের জন্য হা-পিত্যেশ করতে হচ্ছে বোলারদের। ব্যাটার ভুল না করলে উইকেট পাওয়া কঠিন। নাথান লিয়ঁর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ অফস্পিনার যা বললেন, বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
নাথান লিয়ঁর কথায়, ‘এখানে অনেক বেশি ধৈর্যের খেলা। ইন্দোরের পিচে স্পিনারদের সুবিধা ছিল। আমার মতে ইন্দোরের তুলনায়, এখানে আজ আরও ভালো বোলিং করেছি। দীর্ঘ সময় ধরে প্রাথমিক কাজগুলো করা ছাড়া কোনও বিকল্পও ছিল না।’ নাথান লিয়ঁ মনে করেন এই ম্যাচের ফয়সালা সম্ভব। টেস্ট ক্রিকেটে পঞ্চম দিনের শেষ আধঘণ্টাতেও ম্য়াচের রং বদলে যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি। অজি দলের এই অভিজ্ঞ অফস্পিনার বলছেন, ‘ম্য়াচে আমাদের অবস্থান কি? আমরা সকলেই জানি, উপহাদেশে দ্রুত ম্যাচের রং বদলে যেতে পারে। যে দল বেশি ধৈর্য দেখাবে, তাদের পাল্লা ভারী। অনেক বেশি সময় ধরে ধৈর্য রাখতে হবে।’
এই সিরিজে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল পিচ। কোথাও লাল মাটি ব্য়বহার হয়েছে আবার কোথাও কালো মাটি। ইন্দোরে দুইয়ের মিশ্রণের পিচ ছিল। লিয়ঁর কাছে কোন পিচ পছন্দের? বলছেন, ‘আমি এখানে যা বুঝেছি, লাল মাটির তুলনায় কালো মাটির বাঁধন অনেক বেশি। এখানে স্টার্কের বেশ কিছু ডেলিভারিও থমকে গিয়েছে। বল হাতে অনেক কিছুই চেষ্টা করছিল। কিন্তু লাভ হয়নি।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘কালকের দিনটা পুরোপুরি নতুন। এখানে যা গরম (ফলে পিচে ফাঁটল ধরবে দ্রুত), এই ম্যাচে ফল হওয়া সম্ভব। প্রথম সেশনে আমাদের ভালো বোলিং করতে হবে।’