বক্সিং ডে টেস্ট সব দিক থেকেই জমে উঠেছে। ম্যাচের প্রথম দিন থেকেই নানা টার্নিং পয়েন্ট এসেছে। শেষ দিন রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি তৈরি হবে, জানাই ছিল। যে কোনও রেজাল্টই সম্ভব…ছিল, আপাতত এটাই বলতে হচ্ছে। এখন যেন বলতে হয়, এই ম্যাচ ক্রমশ ড্রয়ের দিকে এগচ্ছে। যদি না শেষ দিকে জ্যাজ়বল দেখা যায়। নাথান লিয়ঁ এবং স্কট বোল্যান্ডের শেষ উইকেট জুটি ভারতকে আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল। আর প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে নিজেরাই নিজেদের কাজটা কঠিন করে ভারতীয় দল।
বোর্ডে টার্গেট ছিল ৩৪০। প্রয়োজনীয় রান রেট ৪-এর আশেপাশে। ফলে জয়ের ভাবনা সরিয়ে ক্রিজে টিকে থাকা প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া প্রয়োজন ছিল। যশস্বী জয়সওয়াল ও রোহিত শর্মা শুরু থেকে সেটাই খেলছিলেন। প্রতিপক্ষর ধৈর্যের পরীক্ষা। কিন্তু নিজের ভুলেই উইকেট রোহিতের। ৩৯টি ডেলিভারি সামলানোর পর ধৈর্যচ্যুতি। একই ওভারে লোকেশ রাহুলেরও উইকেট হারায় ভারত।
যশস্বীর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। তাঁর বল ছাড়া দেখে স্বস্তিতে ছিল ভারতীয় শিবির। বিরাট ক্রিজে থাকলে পরে বাকিটা ভাবা যাবে। যদিও সেই ভাবনায় ‘বালি’। সেই অফস্টাম্পের ফাঁদেই পা দেন বিরাট। এরপরই লাঞ্চ। বিরতির পর যশস্বীর সঙ্গে যোগ দেন ঋষভ পন্থ। প্রথম ইনিংসে তাঁর শট সিলেকশন নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। কোনও প্ররোচনায় পা নয়।
একটা পুরো সেশন ব্যাট করে গেলেন যশস্বী ও ঋষভ পন্থ। দু-জনেই কতটা বিধ্বংসী ব্য়াটার এ বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। পরিস্থিতির নিরিখে পরিণত মানসিকতার পরিচয় দিলেন। যশস্বী জয়সওয়াল হাফসেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন। তবে দুই ব্যাটারের ডিফেন্স, ডিসিপ্লিন এবং ধৈর্য অনবদ্য। রান উঠেছে খুবই কম। তবে একটা সেশনে উইকেট না হারানোটাই বড় প্রাপ্তি। টি-ব্রেকে ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ১১২। যশস্বী ১৫৯ বলে ৬৩ রানে এবং পন্থ ৯৩ বলে ২৮ রানে ক্রিজে।
দ্বিতীয় সেশনে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৭৯ রান যোগ করেছে ঋষভ ও যশস্বী। চায়ের পর আরও অন্তত খেলা হবে ৩৮ ওভার। ভারতের প্রয়োজন ২২৮ রান। আপাতত ড্রয়ের দিকেই ঝুঁকে মেলবোর্ন টেস্ট। শেষ দিকে কী হয়, নাটকীয় মোড় নিতেই পারে।