দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা চলছিল। দ্বিতীয় নতুন বল পেলে যেন স্বস্তি। ৮০ ওভার পূর্ণ হতেই দ্বিতীয় নতুন বলের সুযোগ। দেরি করেনি ভারতীয় টিম। ট্রাভিস হেড-স্টিভ স্মিথ জুটি ভারতকে এমনিতেই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে। ভারত আদৌ কতটা স্বস্তি পেল বলা কঠিন। তবে একটু হলেও মাথাব্যথা কমল বলা যায়। হেড সেঞ্চুরি পূর্ণ করে আরও বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাট করছেন। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন স্মিথও। তাঁর ইনিংস এরপর আর স্থায়ী হয়নি। ১০১ রানে বুমরার বোলিংয়ে অনবদ্য ক্যাচে তাঁকে ফেরালেন রোহিত শর্মা।
দ্বিতীয় নতুন বলে প্রথম ওভারে স্ট্রাইকই পাননি স্মিথ। সে সময় সেঞ্চুরির কাছে ছিলেন। আকাশ দীপের ওভার স্ট্রাইক পেয়েই বাউন্ডারি এবং পরের বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। কিন্তু বুমরা বোলিংয়ে আসতেই ছন্দপতন। সেঞ্চুরির পর মনোসংযোগ ধরে রাখা সহজ নয়। বুমরা দুর্দান্ত লেন্থে বোলিং করে যাচ্ছিলেন। ডিফেন্স-বল ছাড়ায় মন দিয়েছিলেন স্টিভ স্মিথ। এরপর ধৈর্য হারানো এবং ড্রাইভ। যদিও ব্যাটে লেগে স্লিপে। বুমরার বোলিং যতটা অনবদ্য, তেমনই রোহিতের ক্যাচকেও কুর্নিশ জানাতে হয়।
অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ উইকেট হিসেবে আউট স্মিথ। ততক্ষণে টিমের স্কোর ৩০০ পার। ট্রাভিস হেডের সঙ্গে ২৪১ রানের পার্টনারশিপ। স্মিথ নিজের কাজটা করে ফেলেছেন। দ্বিতীয় নতুন বলে বুমরা যদি আরও একটু সাফল্য পান, বিশেষ করে যতক্ষণ না হেডের উইকেট নেওয়া যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করার সুযোগ ক্ষীণ। ইতিমধ্যেই ট্রাভিস হেড দেড়শো পেরিয়ে গিয়েছেন। একটা জুটি ভাঙলেও ভারতের চাপ একবিন্দুও কমেনি।