কমেন্ট্রি বক্সে জোর আলোচনা চলছিল, অস্ট্রেলিয়া ঠিক কত রানের টার্গেট সেট করে ইনিংস ডিক্লেয়ার করবে। আর এ দিকে, ভারত অলআউটের টার্গেট সেট করে নিয়েছে। DSP সিরাজ এবং জসপ্রীত বুমরা অন্য মেজাজে। লাঞ্চের পর নীতীশ কুমার রেড্ডিকে বোলিংয়ে আনা হয়েছিল। প্রত্যেককে ছোট্ট স্পেল করানো হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে যাতে ক্লান্ত না হয়ে পড়েন। লাঞ্চের পরই ধারাবাহিক ভালো বোলিংয়ে পুরস্কার পেলেন সিরাজ। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা স্টিভ স্মিথকে ফেরান তিনি। আর বুমরা আসতেই মাথা নত করলেন হেড!
প্রথম ইনিংসের প্রথম স্পেল বাদ দিলে এই সিরিজে বুমরার একাধিপত্য দেখা গিয়েছে। ওই একটা স্পেল দিয়ে যে বুমরার শ্রেষ্টত্ব শেষ হয়ে যায় না, আরও একবার দেখিয়ে দিলেন। সিরাজের সঙ্গে বোলিং করছিলেন নীতীশ। কিন্তু ট্রাভিস হেড ব্যাট হাতে নামতেই তাঁকে ‘স্বাগত’ জানাতে এলেন জসপ্রীত বুমরা। খুব বেশি সময় নেননি। নতুন স্পেলের দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই ফেরালেন সিরিজের সেরা ব্যাটার ট্রাভিস হেডকে। ফরোয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ক্যাচ নেন নীতীশ কুমার রেড্ডি।
ট্রাভিস হেডের এই উইকেটের সঙ্গেই টেস্ট ক্রিকেটে ২০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন জসপ্রীত বুমরা। ৪৪ ম্যাচেই ডাবল সেঞ্চুরি। এখানেই শেষ নয়। পরের ডেলিভারিতে আরও একটি উইকেট। মিচেল মার্শ ক্রিজে এসে নিঃশ্বাস ফেলারও সময় পাননি। তিন বলের ব্যবধানে তাঁকেও ফেরান জসপ্রীত। ভারতীয় দল কত তাড়াতাড়ি অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করবে এই প্রশ্নটাই জোরালো হতে থাকে। নতুন ওভারে এসে অ্যালেক্স ক্যারিরও উইকেট ছিটকে দেন জসপ্রীত বুমরা। ৮০ রানে ২ উইকেট থেকে অল্প সময়ের ব্যবধানেই ৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে অস্ট্রেলিয়া। সব মিলিয়ে লিড ১৯৬ রানের।