বাংলাদেশ সিরিজে যেখানে শেষ করেছিলেন, ডারবানে যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ফর্ম খুঁজছিলেন সঞ্জু স্যামসন। সিরিজের শুরুতেই ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব জানিয়ে দেন, পুরো সিরিজেই ওপেন করবেন সঞ্জু। ক্যাপ্টেনের এই ভরসা কাজে দিয়েছিল। প্রথম দু-ম্যাচে রান পাওয়ায় নিজের মধ্যেই অপরাধবোধে ভুগছিলেন। হায়দরাবাদে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বিধ্বংসী সেঞ্চুরি করেছিলেন সঞ্জু স্যামসন। কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিও সেই ম্যাচেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের আরও নানা রেকর্ড হয়েছিল সেই ম্যাচে। ডারবানে যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন। রেকর্ড টানা দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি সঞ্জু স্যামসনের।
টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান প্রোটিয়া ক্যাপ্টেন এইডেন। শুরুতে পেসাররা সুবিধা পাবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। গুরু যুবরাজ সিংয়ের ছয় ছক্কার মাঠে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ অভিষেক শর্মা। পেসার জেরাল্ড কোৎজের বোলিংয়ে ফেরেন এই বাঁ হাতি তরুণ ওপেনার। তবে উল্টোদিকে সঞ্জু স্যামসন নিজের মেজাজেই। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ২৭ বলেই হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছন।
কোনও অতিরিক্ত ঝুঁকি নয়, বরং টাইমিংয়েই বাজিমাত সঞ্জু স্যামসনের। রেনবো নেশনে পেস-বাউন্সি পিচে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়। স্পিনাররাও কিছুটা সুবিধা পেয়ে থাকেন। ঘরের মাঠে গত কয়েক সিরিজে পেস বাউন্সি পিচেই খেলেছে ভারতের টি-টোয়েন্টি দল। ডারবানে সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগান সঞ্জু। আফ্রিকান সাফারি শুরু বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে। ২৭ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছন তিনটি বাউন্ডারি এবং পাঁচটি ছয় মেরে। তাতেও অবশ্য থামানো যায়নি সঞ্জুকে। পাওয়ার প্লে-র পরও দুর্দান্ত ব্যাটিং সঞ্জুর।
ভারতের প্রাক্তন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বর্তমান অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একাধিক সেঞ্চুরি করেছেন। যদিও টানা দু-ম্যাচে সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল না। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৪৭ বলে ১১১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন। ৪৫তম ডেলিভারিতে ৬ মেরে ৯৮ রানে পৌঁছন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি ছিল স্কাইয়ের। ৫৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন ক্যাপ্টেন স্কাই। সঞ্জু স্যামসন ডারবানে সেঞ্চুরিতে পৌঁছলেন ৪৭ বলে। সাতটি বাউন্ডারি এবং ৯টি ওভার বাউন্ডারি! অবিশ্বাস্য ইনিংস সঞ্জুর। অবশেষে ১০৭ রানে ফেরেন সঞ্জু। আরও একটি ওভার বাউন্ডারির চেষ্টা করলেও হাওয়ায় থমকে যায় বল। বাউন্ডারি লাইনে দুর্দান্ত ক্যাচ ত্রিস্তান স্টাবসের।