কলকাতা: রেনবো নেশনে সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson) প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে যে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। ভারতে যেখানে শেষ করেছিলেন, ডারবানে যেন ঠিক সেখান থেকেই শুরুটা করলেন সঞ্জু। টানা দু’ম্যাচে সেঞ্চুরি সঞ্চুর। ৪৭ বলে দুরন্ত শতরান তাঁর। শেষ অবধি ১০৭ রানে তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ডারবানে সেঞ্চুরিয়ন সঞ্জু জানান, ভারতের টি-২০ ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) কী ভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবং তাঁকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করেছেন।
২০১৫ সালে টি-২০ অভিষেক হওয়ার পর ধারাবাহিক ছিলেন না সঞ্জু স্যামসন। এরপর টি-২০ টিমের দায়িত্ব ক্যাপ্টেন স্কাই ও গুরু গম্ভীর নেওয়ার পর সঞ্জুকে আলাদা অবতারে দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর সঞ্জু স্যামসন জানিয়েছেন, তিনি কীভাবে টিম ম্যানেজমেন্ট ও ক্যাপ্টেন সূর্যকুমারের সমর্থন পেয়েছেন। ম্যাচের শেষে সঞ্জু জিও সিনেমাকে বলেন, ‘যখন আমি দলীপ ট্রফির দ্বিতীয় ম্যাচে খেলছিলাম, সূর্য অন্য দলের হয়ে খেলছিল। এক ম্যাচে ও আমাকে বলেছিল পরের ৭টা ম্যাচ তোমার হতে চলেছে। চেট্টা ৭টা ম্যাচে তুমি ওপেন করবে। যাই হোক না কেন, আমি তোমাকে সব সময় সমর্থন করব।’
এরপরই সঞ্জু বলেন, ‘এরপর বিষয়টা আমার কাছে পরিষ্কার ছিল। কেরিয়ারে এই প্রথমবার আমার কাছে একটা স্পষ্ট ধারণা ছিল, যে আমার হাতে ৭টা ম্যাচ রয়েছে। তাই আমি বুঝতে পেরেছিলাম আলাদা কিছু করতে হবে। যদি অধিনায়কের কাছ থেকে এমন স্পষ্টতা ও আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায় তা হলে সেটার ছাপ মাঠেও পড়ে। টিম ম্যানেজমেন্টও আমাকে সেই পরিষ্কার ধারণাটা দিয়েছিল যে আগামী ৭টা ম্যাচে (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩টে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৪টে) আমি ওপেনিং করব। আমি অতিরিক্ত দূরের কথা ভাবি না। দলের হয়ে অবদান রাখতে চাই।’
ডারবানে বিগত কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু তাতে ভারতীয় টিমের সমস্যা হয়নি। সেই প্রসঙ্গে সঞ্জু বলেন, ‘দলের হয়ে সেঞ্চুরি করার একটা আলাদা আনন্দ আছে। উইকেট কিছুটা বাউন্সি। ৩-৪দিন ধরে এখানে বৃষ্টি হয়েছে। তাই আমার মনে হয় পরিবেশ বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। সেই অনুযায়ী আমরা দলের সঙ্গে আলোচনা করি এবং পরিকল্পনা করি। ৩-৪দিন ধরে বৃষ্টি হলেও আমাদের টিম এখানে অনুশীলন করেছে। ২-৩ ঘণ্টা ব্যাটিং করেছি। সেটা কাজে দিয়েছে। আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং সেই মতোই খেলেছি।’