IND vs ENG: ইউথোনেশিয়া! লর্ডসে লাঞ্চ বিরতিতে বেঁচে শুধুই আশঙ্কা…
IND vs ENG 3rd Test: অর্থাৎ স্বেচ্ছামৃত্যু। শুরুটা হয়েছিল গত কালই। বোর্ডে মাত্র ১৯৩ রানের টার্গেট থাকলেও যশস্বী জয়সওয়ালের শট সিলেকশন প্রশ্নের মুখে ফেলেছিল। ম্যাচের শেষ দিন ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৩৫ রান। কিন্তু লাঞ্চ বিরতিতেই যেন বলা যায়, ভারত হারের সামনে।

লর্ডসে প্রচণ্ড গরম। প্রকৃতির জন্য নয়। দু-দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশ কিছু গরম মুহূর্ত। স্লেজিং হবে এটাই স্বাভাবিক। ইংল্য়ান্ড যেন সেটাকেই হাতিয়ার করল। মনসংযোগ দেখাতে ব্যর্থ ভারতীয় ব্যাটাররা। ইউথোনেশিয়াই যেন বলা যায়। অর্থাৎ স্বেচ্ছামৃত্যু। শুরুটা হয়েছিল গত কালই। বোর্ডে মাত্র ১৯৩ রানের টার্গেট থাকলেও যশস্বী জয়সওয়ালের শট সিলেকশন প্রশ্নের মুখে ফেলেছিল। ম্যাচের শেষ দিন ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৩৫ রান। কিন্তু লাঞ্চ বিরতিতেই যেন বলা যায়, ভারত হারের সামনে।
টার্গেট দেখে মনে হয়নি, এই ম্যাচ ভারতের হাতছাড়া হতে পারে। ম্যাচ শেষ না হতেই এমন কথা লিখতে হচ্ছে। লর্ডসের পিচে প্রথম দিন থেকেই দেখা গিয়েছে মন্থর এবং অসমান বাউন্স রয়েছে। ব্যাটারদের কাজটা কঠিন ছিল। সেটা আরও কঠিন হবে সময়ের সঙ্গে, এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। ইংল্য়ান্ডও বাজ়বল খেলেনি। প্রয়োজন ছিল ধৈর্য ধরে খেলার। সেটাই করেছিল ভারতও। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে অতি আগ্রাসনই যেন অস্বস্তির কারণ হল।
ছোট টার্গেট অনেক সময়ই সমস্যা তৈরি করে। ভারতের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। যশস্বীর মতো তরুণ ক্রিকেটার যিনি প্রথম বার ইংল্যান্ডে খেলছেন। শুরুটা করেছিলেন ভালোই। কিন্তু লর্ডসের দ্বিতীয় ইনিংসে পরিস্থিতি যখন ডিমান্ড করে ক্রিজে টিকে থাকার, দায়সারা শট খেলে আউট হন। অভিজ্ঞ করুণ নায়ার যিনি আট বছর পর টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন, কাজে লাগাতে ব্যর্থ। ঋষভ পন্থ এবং লোকেশ রাহুল ফিরতেই যেন ম্যাচ ওভার ভারতের। লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগে নীতীশ রেড্ডির উইকেট।
লর্ডসে জিততে ভারতের চাই আরও ৮১ রান। ক্রিজে রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা। কিন্তু উল্টোদিকে বাকি মাত্র সিরাজ এবং বুমরা। ফলে এখান থেকে মিরাকল ছাড়া জয়ের স্বপ্ন না দেখাই শ্রেয়। জাডেজা যদি এখান থেকে জেতাতে পারেন, মিরাকল বলাই যাবে।
