অনূর্ধ্ব ১৯ স্তরে একসঙ্গে খেলেছেন। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপও জিতেছেন শুভমন গিলের সঙ্গে। পঞ্জাব টিমের ক্যাপ্টেনও এখন অভিষেক। যুবরাজ সিংয়ের ভক্ত। নিজেকে শিষ্যও মানেন। যুবরাজের মতোই বাঁ হাতি বিধ্বংসী ব্যাটার। বাঁ হাতি স্পিনারও। অবশেষে সিনিয়র দলে সুযোগ পেয়েছেন অভিষেক শর্মা। ম্যাচের আগের দিনই ক্যাপ্টেন শুভমন গিল নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন, তাঁর ওপেনিং সঙ্গী হবেন অভিষেক শর্মা। তিনে ব্যাট করবেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। কিন্তু অভিষেক যেন এমন অভিষেক ম্যাচ প্রত্যাশা করেননি।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের গত মরসুমে ব্যাটিং তাণ্ডব দেখা গিয়েছে। বোলারদের অসহায় দেখিয়েছে। এই তাণ্ডব করা ব্যাটারদের তালিকায় রয়েছেন অভিষেক শর্মাও। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের এই ব্যাটার ২০০-র উপর স্ট্রাইকরেটে ৪০০ প্লাস রান করেছেন গত আইপিএলে। জিম্বাবোয়ে সফরে সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা যশস্বী জয়সওয়ালকে প্রথম দু-ম্যাচে পাওয়া যাবে না। অভিষেকের কাছে তাই দুর্দান্ত সুযোগ ছিল।
বোর্ডে মাত্র ১১৬ রানের টার্গেট। প্রত্যাশামতোই শুভমন গিলের সঙ্গে ওপেন করেন অভিষেক শর্মা। বাঁ হাতি ওপেনার দেখেই কি অফস্পিনারকে দিয়ে বোলিং ওপেন করারন জিম্বাবোয়ে ক্যাপ্টেন সিকান্দার রাজা? হতে পারে। তাঁর পরিকল্পনা সফল। অফস্পিনার ব্রায়ান বেনেটের উচ্চতা অনেকটাই। তিনটি ডেলিভারি ধৈর্য ধরে খেলেন অভিষেক। চতুর্থ ডেলিভারি একটু শর্ট ছিল। পুল করেন অভিষেক। লক্ষ্য ছিল বাউন্ডারি পার করা। যদিও ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার হাতে ক্যাচ। খাতা খোলার আগেই হতাশায় মাঠ ছাড়েন অভিষেককারী অভিষেক।