বয়স ২৪। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যাপ্টেন্সির অভিষেক। আর ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম সিরিজেই বিশাল ব্যবধানে জয়। টিমে তাঁর চেয়ে বয়সে বড় অনেক ক্রিকেটারই রয়েছেন। তবে ক্যাপ্টেন শুভমন গিল যেমন ব্যাটে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তেমনই নানা সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও। এখানেই শেষ নয়। ভারতীয় ক্রিকেটে কত কয়েক বছর ধরে চলে আসা ট্র্যাডিশনও বজায় রাখলেন। ট্রফি জিতে তা তুলে দিলেন এই সিরিজে অভিষেক হওয়ার ক্রিকেটারদের হাতেই। ফটোসেশনে ট্রফি রইল তাঁদের হাতেই। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রিন্স শুভমন গিল মন জিতে নিলেন।
সিনিয়র স্তরে নেতৃত্বের কোনও অভিজ্ঞতাই ছিল না শুভমন গিলের। এমনকি বয়সভিত্তিক স্তরেও খুব সামান্য। গত আইপিএলে শেষ মুহূর্তে গুজরাট টাইটান্স থেকে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়া। আইপিএলে প্রথম দু-মরসুম হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বেই খেলেছে টাইটান্স। হার্দিক চলে যাওয়ায় নেতৃত্ব নিয়ে একটা সমস্যা দেখা যায়। দলে একাধিক সিনিয়র প্লেয়ার থাকলেও টিম ম্যানেজমেন্ট ভরসা দেখান তরুণ শুভমন গিলের উপরই। প্রথম বার নেতৃত্ব। আহামরি ফল না হলেও প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স। সেই থেকেই যেন ভরসা বাড়তে শুরু করে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্ট্যান্ড বাই স্কোয়াডে ছিলেন শুভমন গিল। বিশ্বকাপের পরই এই সিরিজ হওয়ায় সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রামের ভাবনা ছিলই। শুভমন গিলের নেতৃত্বে তরুণ স্কোয়াড ঘোষণা হয়। এর মধ্যে একঝাঁক নতুন মুখ। এই সিরিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে অভিষেক শর্মা, রিয়ান পরাগ, তুষার দেশপান্ডে, সাই সুদর্শনদের। তেমনই টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে ধ্রুব জুরেলের।
ক্যাপ্টেন শুভমন গিল এবং তরুণ ভারতীয় দলের শুরুটা ভালো হয়নি। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হার। দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় টিম। পরপর চার ম্যাচ জিতেছে। এক ম্যাচ বাকি থাকতে সিরিজ জিতলেও ক্যাপ্টেনের নজর ছিল জয় দিয়েই সিরিজ শেষ করায়। লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ট্রফি নিয়ে তুলে দিলেন এই সিরিজে অভিষেক হওয়া ক্রিকেটারদের হাতেই। ভারতীয় ক্রিকেটে এই ট্র্যাডিশনই তো চলে আসছে!