ম্যাচ এবং নেট প্র্যাক্টিসে বিস্তর ফারাক রয়েছে। প্র্যাক্টিসে একই শট প্রতি ডেলিভারিতে ট্রাই করা যায়। আউট হলেও নেট ছাড়তে হয় না। নিজেকে পারফেক্ট করে তুলতে বারবার চেষ্টায় কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু ম্যাচে? আগের ডেলিভারিতেই ফ্যান্সি শট ট্রাই করেছিলেন ঋষভ পন্থ। ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। বল পেটে লাগে। কয়েক সেকেন্ড শুয়ে ছিলেন পন্থ। উঠে রি-ফোকাসের প্রয়োজন ছিল।
কিন্তু পন্থ তো পন্থ! পরের ডেলিভারিতে আবারও একই শট। স্কুপ-স্লগ সুইপ দুটোর মিশ্রণ। স্কট বোল্যান্ড লেন্থ আরও একটু উপরে করেন। ব্যাটে ঠিকঠাক লাগে বল যাওয়ার কথা স্কোয়ারলেগের দিকে। যদিও মিস হিট, টপ এজ লেগে থার্টম্যান বা বলা ভালো ফ্লাইং স্লিপে নাথান লিয়ঁর কাছে ললিপপ ক্যাচ। ঋষভ পন্থ শুধু ক্রিকেটার নন। বিনোদনের মশলাও। টেস্ট ক্রিকেট যে মহূর্তে মনে হবে একঘেয়ে লাগছে, একটা ফ্যান্সি শট খেলে পরিস্থিতি বদলে দিতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে দলের পরিস্থিতির কথাও ভাবা উচিত।
Sunil Gavaskar on Pant dismissal @abcsport: stupid! stupid! stupid! #AUSvIND
— Corbin Middlemas (@CorbinMiddlemas) December 28, 2024
তৃতীয় দিনের শুরু থেকে তাড়া করল গত কালের রান আউট আতঙ্ক। জাডেজার সঙ্গে দু-তিনবার ভুল বোঝাবুঝি হলেও ক্ষতি হয়নি। অজি ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্সকে লং অন বাউন্ডারিতে একটি ছয়ও মারেন পন্থ। রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে রানিং বিটউইন দ্য উইকেটও দুর্দান্ত। মনে হচ্ছিল, প্রথম সেশনেই অস্ট্রেলিয়া বোলারদের হতাশায় ডুবিয়ে রাখবে এই জুটি। কিন্তু নিজেই উইকেট উপহার দিয়ে আসেন ঋষভ পন্থ।
জাডেজা-পন্থ জুটি যে ভাবে ব্যাট করছিল, সহজেই সিঙ্গল-ডাবল আসছিল। অজি শিবির ক্রমশ অস্বস্তিতে পড়েন। প্রথম ঘণ্টায় যা খুবই প্রয়োজন। বলা যায়, বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং। যা দীর্ঘস্থায়ী হলে দলেরই লাভ হত। রান রেট ছিল ৪-এর আশে পাশে। টেস্ট ক্রিকেটে যা দুর্দান্ত। কিন্তু ফ্যান্সি হতে গিয়েই সমস্যা। ২৮ রানেই ইতি পন্থের ইনিংস।