বোর্ডে মাত্র ১২৪ রানের পুঁজি। মনে হয়েছিল একতরফা জয় ছিনিয়ে নেবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বরুণ চক্রবর্তীর অনবদ্য স্পেলে ম্যাচে ফেরে ভারত। কিন্তু বরুণ চক্রবর্তী এবং রবি বিষ্ণোইয়ের স্পেল শেষ হতেই যেন চাপে পড়ে ভারত। শেষ চার ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৭ রান। ভারতের চাই তিন উইকেট। ক্রিজে স্পেশালিস্ট ব্যাটার ত্রিস্তান স্টাবসের সঙ্গে পেসার জেরাল্ড কোৎজে। ভারতের জয় যেন সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু এই জুটি যে ম্যাচের রং বদলে দেবেন কে জানতো! ধোঁয়াশা তৈরি হয়, অক্ষর প্যাটেলের কি চোট রয়েছে? না হলে তাঁকে মাত্র এক ওভার বোলিং করানো হল কেন! মাত্র ২ রান দেওয়া অক্ষরকে কেন ফেরানো হল না!
মাত্র ৬৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের নজরে টানা একডজন জয়ে। পার্থক্য ছিল সামান্যই। কিন্তু স্লগ ওভারে পেসারদের বোলিং ডোবাল ভারতকে। অক্ষর প্যাটেল ফিল্ডিংও করছিলেন। তা হলে তাঁকে কেন বোলিংয়ে আনা হল না! অর্শদীপ, আবেশ খান, অর্শদীপ। ইয়র্কারের চেষ্টায় আবেশ ফুলটস দিয়ে গেলেন। যার সুযোগ নিতে ছাড়েননি প্রোটিয়া ব্যাটাররা। জেরাল্ড কোৎজে বোলার হলেও ব্যাটের হাত ভালো। তবে স্পিনের বিরুদ্ধে কেমন খেলতেন, তা অবশ্য প্রশ্নের জায়গা রাখে।
অক্ষর প্যাটেলকে দিয়ে বোলিং করালে কি পরিস্থিতি বদলাতে পারত? রিঙ্কু সিং, সূর্যকুমার যাদবও তো শ্রীলঙ্কায় স্পিন বোলিং করেছিলেন। তা হলে এখানে কেন এমন কোনও পরিকল্পনা গড়লেন না! সেই প্রশ্নের উত্তর সূর্যই দিতে পারবেন। শেষ অবধি ত্রিস্তান স্টাবসের ৪১ বলে ৪৭ এবং কোৎজের ৯ বলে ১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। এক ওভার বাকি থাকতেই ৩ উইকেটের জয়ে সমতা ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা। টি-টোয়েন্টিতে এটি বছরের দ্বিতীয় এবং ১১ ম্যাচ পর হার ভারতের।