চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ সহজেই জিতল ভারত। যদিও খাতায় কলমে ভারতের দল তরুণ। তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা কম নয়। ডারবানে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল ভারত। বেরহায় দ্বিতীয় ম্যাচে হার। ১১ ম্যাচ পর প্রথম হার ছিল ভারতের। যদিও সেই ম্যাচ নিয়ে অস্বস্তিতে দেখায়নি ক্যাপ্টেন স্কাইকে। বরং বলেছিলেন, বাকি দু-ম্যাচে বিনোদন দেখা যাবে। তাই দেখা গেল। সেঞ্চুরিয়নে তিলকের সেঞ্চুরি। জোহানেসবার্গে শেষ ম্যাচে তিলক-সঞ্জুর জোড়া সেঞ্চুরি। দু-জনেই এই সিরিজে দুটো করে সেঞ্চুরি করেন। জো’বার্গে বিশাল স্কোর গড়ে ভারত।
ভারতের কাছে সিরিজ হারের জায়গা ছিল না। হয় জয়, নয়তো ড্র হত। তবে প্রোটিয়াদের ২৮৪ রানের টার্গেট দেওয়ার পর সিরিজ জয়েরই ইঙ্গিত ছিল। তার উপর পাওয়ার প্লে-তে ভারতের বোলিং। প্রথম দু-ওভারে দুই উইকেট। ১০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ভবিষ্যৎ যেন এখানেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল।
ত্রিস্তান স্টাবস ও ডেভিড মিলার জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। ইনিংসের মাঝপথে ৭৩ রান তোলে প্রোটিয়ারা। আর কোনও উইকেট না হারানোয় একটা সম্ভাবনা ছিল, ২০ ওভার অন্তত ব্যাট করবে। মিলারদের যেন লক্ষ্য দাঁড়ায় হারের ব্যবধান যতটা কমানো যায়। মিলারের ব্যাটে সেই বিনোদনই দেখা গেল। অবশেষে বরুণ চক্রবর্তীর শিকার মিলার। ওভার দ্য উইকেট বোলিং করছিলেন বরুণ। অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিও স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠাচ্ছিলেন। রাউন্ড দ্য উইকেট আসতেই মিলারের উইকেট। ২৭ বলে ৩৬ রান করেন মিলার।
সঙ্গী হারাতেই আউট ত্রিস্তান স্টাবসও। ৯৬ রানে পর পর দু-বলে দ উইকেট। মিলারের পর নতুন ওভারের প্রথম বলে স্টাবসকে ফেরান রবি বিষ্ণোই। প্রোটিয়া ব্য়াটারদের কাছে ক্রিজে সময় কাটানো আর ব্যবধান কমানো ছাড়া কোনও লক্ষ্য ছিল না। ভারত নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকে। তবে বাউন্সারে উইকেট নেন স্পিনার! এটাই মজার দৃশ্য। সিমেলানেকে স্টেপ আউট করতে দেখেছিলেন বরুণ। শর্টপিচ দেন। ব্যাটের মাথায় লেগে শর্ট থার্টম্যানে ক্যাচ। সপ্তম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচ ক্রমশ একঘেয়ে হয়ে দাঁড়ায়। ১৪১ রানে নবম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দিকে মার্কো জানসেন ক্যামিও ইনিংসে বিনোদন দেন। ভারতীয় দল যেন বোলারদের প্র্যাক্টিসের সুযোগ করে দিচ্ছিল। রমনদীপ অভিষেক ম্যাচে সামান্য ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। বোলিং করানো হয়নি। এ দিন তাঁকে ফুল কোটার বোলিং দেওয়া হয়। স্পেলের শেষ ওভারে উইকেটও নেন রমনদীপ। ১৪৮ রানেই শেষ প্রোটিয়া ইনিংস। ১৩৫ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ এবং ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় ভারতের।