চেন্নাই : মরসুমের প্রথম ম্য়াচে নেমেছিলেন ইমপ্য়াক্ট প্লেয়ার হিসেবে। সে ভাবে নজর কাড়তে পারেননি। সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছিল, ‘নো’ বল। ঘরের মাঠে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধেও বেশ কিছু নো বল করেন তুষার দেশপান্ডে। অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি মেজাজ হারাননি। তবে মাহির অভিব্য়ক্তিতে বুঝেছিলেন, তিনি একেবারেই খুশি নন। ম্যাচ শেষের পুরস্কার বিতরণে অধিনায়ক ধোনির মন্তব্য তুষারের পাশাপাশি বাকি বোলারদেরও সতর্কবার্তা দিয়েছিল। ধোনি বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রচুর ওয়াইড-নো বল হচ্ছে। এগুলো কমাতে হবে। নয়তো কোন দিন ঘুম থেকে উঠে দেখবে, আমি দলের সঙ্গে নেই। নতুন কারও নেতৃত্বে খেলতে হচ্ছে।’ ধোনির এই বার্তা বুঝেছিলেন তুষার। পরের ম্যাচে তুষার কোনও বোলারই নো বল করেননি। ধোনির ছায়ায় ক্রমশ নিজেকে মেলে ধরছেন তুষার দেশপান্ডে। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
একটা সময় অবধি চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মিডল ওভারে বোলিংয়ের দায়িত্ব ছিল ডোয়েন ব্র্যাভোর ওপর। যখনই প্রতিপক্ষ কোনও পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করত, বল হাতে কামাল করতেন ব্র্য়াভো। এখন তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং কোচ। প্লেয়ার হিসেবে তাঁর ভূমিকাই যেন পালন করছেন তুষার দেশপান্ডে। কোচ হিসেবে ব্র্যাভো, নেতৃত্বে ধোনি। এমন জুটিকে পেয়ে ক্রমশ উন্নতি করছেন। তবে তুষারের ইকোনমি এখনও অবধি প্রশংসনীয় নয়। মুকেশ চৌধুরি চোটে ছিটকে গিয়েছিলেন। দীপক চাহারেরও চোট। গত ম্যাচে বেন স্টোকসও খেলতে পারেননি। তুষারের সামনে আরও বড় সুযোগ করে দিয়েছে এত ঘটনা।
তুষার দেশপান্ডে ২০২১ সালের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের নেট বোলার ছিলেন। নিলামে অবিক্রীত থাকেন। এ বছর তাঁর ওপর ভরসা দেখান মহেন্দ্র সিং ধোনি। কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর হাতে বল তুলে দিয়েছেন। প্রচুর রান দিলেও বোলিংয়ে বৈচিত্র প্রতিপক্ষকে চমকে দেয়। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে গত ম্যাচের কথাই ধরা যাক। টিম ডেভিড বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। তাঁর বোলিংয়ে ৬,৪,৬! এরপরই অফ কাটার। ডেভিডকে ফেরান তুষার। ১৪০ কিমি/ঘণ্টা গতিতেও চমকে দিতে পারেন, আবার স্লোয়ারেও। মুম্বই ম্যাচ জিতে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেন, ‘ওর ওপর বিশ্বাস রয়েছে। নতুনদের ক্ষেত্রে বাড়তি চাপ থাকে। কয়েকটা ম্যাচ খেললে সব স্বাভাবিক হয়ে যায়। ঘরোয়া ক্রিকেটে ওর পারফরম্যান্স খুবই ভালো।’ ধোনির ভরসা যাঁর ওপর থাকে, তাঁর শেখার ইচ্ছে থাকলে যে উন্নতি হবে, এ কথা বলাই যায়।