বেঙ্গালুরু : ”বেবি’জ ডে আউট” এর জায়গায় ”ডগ’স ডে আউট”। অভিনব উদ্যোগে শিরোনামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর এবং চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। ক্রিকেট মাঠে কুকুর ঢোকার ঘটনা অনেকেই ঘটে। এ বারের আইপিএলে চিপকেও এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংস বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচটি ৫ মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছিল। স্টেডিয়ামে কুকুর দেখাও নতুন নয়। নিরাপত্তার কারণেই পুলিসের ডগ স্কোয়াড রাখা হয়। কিন্তু পোষ্যকে মাঠে নিয়ে আসার ব্য়বস্থা! অনেকের বাড়িতেই হয়তো পোষ্যকে দেখাশোনা করার জন্য আলাদা করে কেউ থাকে না। অথচ তাঁর ইচ্ছে পরিবারের সঙ্গে ম্যাচ দেখার। পোষ্যকে কোথায় রাখা হবে! এমন ভাবনা থেকেই অভিনব উদ্যোগ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচে এই উদ্যোগ দেখা গিয়েছে। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর আরও একবার এমন ব্যবস্থা করেছে। শুধু ক্রিকেট প্রেমীরাই মাঠে যাবেন তা নয়। পোষ্যকেও সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে। এ বার এই উদ্যোগকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডগ আউট’। চিন্নাস্বামীই এক মাত্র স্টেডিয়াম, যে খানে পোষ্যদের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে। ক্রিকেটের আনন্দ থাকছে, সঙ্গে প্রিয় পোষ্যকেও নিয়েও চিন্তা নেই। এর আগে এই উদ্যোগকে তারা নাম দিয়েছিল, ‘আরসিবি লাভস ফারি’। এ বার শুধু পোষ্য নিয়ে আসাই নয়, ছিল তাদের সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য আলাদা জায়গাও।
লখনউয়ের বিরুদ্ধে হারলেও সব দিক থেকেই রোমাঞ্চ ছিল। ঘরের মাঠে ৮ উইকেটের বড় জয়ে এ বারের আইপিএল শুরু করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। যদিও ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিতীয় ম্যাচেই মুখ থুবরে পড়ে। ঘরের মাঠে ফেরায় আরসিবি সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল, দল জয়ে ফিরবে। মঞ্চও প্রস্তুত ছিল। প্রথমে ব্য়াট করে লখনউকে ২১৩ রানের বড় লক্ষ্য দেয় আরসিবি। দ্রুত তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচ নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিল। যদিও মার্কাস স্টইনিস এবং নিকোলাস পুরানের বিধ্বংসী ইনিংস লখনউকে ম্যাচে ফেরায়। শেষ বলে বাই রান নিয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় লখনউয়ের। দল হারলেও রোমাঞ্চকর এবং বিনোদনে ভরপুর একটা ম্যাচ দেখার সুযোগ পেয়েছে চিন্নাস্বামীর গ্যালারি।