গত কয়েকটা মাস নানা চড়াই উতরাই দেখেছেন কেকেআর ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার। উতরাই বেশি ছিল, এমনই যেন বলা যায়। দেশের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে অনবদ্য পারফর্ম করেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। শুধু ব্যাট হাতেই নয়, ফিল্ডিংয়েও ছিলেন দুর্দান্ত। স্মরণীয় কিছু ক্যাচ নিয়েছিলেন বিশ্বকাপে। টানা দশ ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। যদিও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারে ট্রফির স্বপ্ন ইতি হয়। বিশ্বকাপের পর থেকে শ্রেয়স আইয়ারের ফর্ম নিয়েও অস্বস্তি।
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছিল ভারত। প্রথম দু-ম্যাচের পরই স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় শ্রেয়স আইয়ারকে। ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলা নিয়ে বোর্ডের রোষে পড়েন। বার্ষিক কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয় শ্রেয়সকে। বোর্ডের নির্দেশে রঞ্জি ট্রফি সেমি ফাইনাল এবং ফাইনাল খেলেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। চ্যাম্পিয়নও হয় মুম্বই। কিন্তু তারপরও চুক্তি থেকে বাদ পড়া আটকাতে পারেননি। আইপিএল ফাইনালের আগে সেই প্রসঙ্গও উঠে এল।
সকলে তাঁর ফর্ম এবং বাকি পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করলেও চোট নিয়ে কিছু বলেননি। অভিমান ঝরে পড়ল শ্রেয়সের কথায়। বলছেন, ‘বিশ্বকাপের পর দীর্ঘ ফরম্যাটে (টেস্টে) আমি সমস্যায় পড়েছিলাম। চোটের কথা বললেও কেউ এই বিষয়টাকে পাত্তা দেয়নি। তবে সে সময় নিজের সঙ্গেই লড়াই করছিলাম। আইপিএলের আগে একটাই লক্ষ্য ছিল, নিজেকে প্রমাণ করেই আইপিএলে নামব। যতটা সম্ভব চেষ্টা করব।’
রঞ্জি ট্রফির নকআউট পারফরম্যান্স তারই ফল! তেমনই ইঙ্গিত শ্রেয়সের কথায়। সব কী ভাবে ঠিক হল, সে কথাই শোনালেন। বলেন, ‘রঞ্জি ট্রফি নকআউট দুর্দান্ত কেটেছে। আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। দ্বিতীয় ইনিংসে (৯৫ রান) দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেছি। সেটা আমাকে আনন্দ দিয়েছিল। কত কয়েক মাস ভালো খেলছি, এটুকু বলতে পারি।’ আপাতত লক্ষ্য আইপিএল ফাইনাল। জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে কিছু ভাবছেন না শ্রেয়স। নিজে পারফর্ম করে যেতে চান।