বার্থ ডে বয় রোহিত শর্মার সন্ধেটা সুখের হল না। একটা দুর্দান্ত ইনিংস খেলে নিজেকেই যেন উপহার দিতে পারতেন। সেটাই হল না। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। দীর্ঘ কয়েক ম্যাচ পর অবশেষে ফিরলেন লখনউয়ের এক্সপ্রেস গতির পেসার মায়াঙ্ক যাদব। একটি উইকেটও নিলেন। চিন্তায় রাখল উইকেট নিয়েই মাঠ ছাড়েন মায়াঙ্ক। তবে লখনউকে দুর্দান্ত জায়গায় রাখে তাদের পাওয়ার প্লে পারফরম্যান্স। কিছুটা লড়াই করেন ঈশান কিষাণ। মুম্বইয়ের হাল ধরেন তরুণ ব্যাটার নেহাল ওয়াদেরা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রোহিত শর্মার উইকেট হারায় মুম্বই। মন্থর পিচে শট খেলা সহজ ছিল না। মহসিন খানের ডেলিভারিতে কভার ড্রাইভ মেরেছিলেন রোহিত। যদিও বল গ্রাউন্ডে রাখতে পারেননি। সহজ ক্যাচে তাঁকে ফেরান মার্কাস স্টইনিস। নিজের দ্বিতীয় ওভারে বড় উইকেট মার্কাস স্টইনিসের। লেগ সাইডের ডেলিভারি সূর্যকুমার যাদবের গ্লাভস ছুঁয়ে যায়। আম্পায়ার ওয়াইড দিয়েছিলেন। ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুলকে রিভিউ নিতে রাজি করান স্টইনিস। সাফল্যও মেলে।
সবচেয়ে বেশি চাপ তৈরি হয় পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে। প্রথম বলেই ভুল বোঝাবুঝি এবং অনবদ্য ডিরেক্ট থ্রোয়ে রান আউট ছন্দে থাকা তিলক ভার্মা। ক্রিজে এসেই খোঁচা দিয়ে কট বিহাইন্ড মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। পাওয়ার প্লে-তে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে মুম্বই। নেহাল ওয়াদেরা ৪৬ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন। ঈশান কিষাণের অবদান ৩২ রান। শেষ দিকে টিম ডেভিডের ১৮ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৪৪ করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সর্বাধিক রান স্কোরার নেহাল ওয়াদেরা ইনিংস বিরতিতে অবশ্য জানান, এই পিচে শট খেলা খুবই কঠিন। তারপরও ১৪৪ রান ডিফেন্ড করা সম্ভব কিনা, এই নিয়ে প্রশ্ন থাকেই। মুম্বই শিবিরের লক্ষ্য রোহিতকে বার্থ ডে গিফ্ট জয় উপহার দেওয়া। প্লে-অফের লড়াইয়ে থাকতে হলেও জিততেই হবে।