লখনউয়ের মাঠে ১৯ এপ্রিল মুখোমুখি হয়েছিল সুপার জায়ান্টস ও চেন্নাই সুপার কিংস। আজ ফের মুখোমুখি এই দুই দল। চেন্নাই সুপার কিংস এ বার মাত্র একটি অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতেছে। সেটি ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। সেটিও কষ্টার্জিত জয়। পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ৪ বলের ইনিংস। লখনউয়ের মাঠেও অনবদ্য ব্যাটিং করেছেন মাহি। শেষ হাসি লখনউ সুপার জায়ান্টস শিবিরেই। চেন্নাইয়ের দুর্গে বেশ কিছু বিষয়ে নজর থাকবে।
এ বারের আইপিএলে চিপকের মাঠে অন্য চিত্র দেখা গিয়েছে। চিপক সাধারণত স্পিনারদের স্বর্গ। কিন্তু এই আইপিএলে শুরুর দিকের ম্যাচে দেখা গিয়েছে পেসারদের দাপট। চিপকে গত ম্যাচে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। চিপকে ধোনিরা শেষ ম্যাচ খেলেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। সেই চেনা মন্থর পিচে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছিলেন কেকেআর ব্যাটাররা।
রবীন্দ্র জাডেজা ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। ৪ ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ১৮ রান। মহেশ থিকসানা মাত্র ১টি উইকেট নিলেও ইকোনমি ছিল মাত্র ৭। রাচিন রবীন্দ্রকে মাত্র ১ ওভার ব্যবহার করা হয়েছিল। দিয়েছিলেন ৪ রান। দুই জোরে বোলার তুষার দেশপান্ডে ও মুস্তাফিজুর জুটিতে পাঁচ উইকেট নিয়েছিল। তাঁরাও কিন্তু এক্সপ্রেস গতির বোলার নন। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধেও কি তেমনই পিচই থাকবে?
এটা অবশ্য় সামান্য় হলেও ঝুঁকির হতে পারে। লখনউ সুপার জায়ান্টসের স্পিন আক্রমণকে হালকা নেওয়ার জায়গা নেই। ক্রুনাল পান্ডিয়া এবং রবি বিষ্ণোই রয়েছেন লোকেশ রাহুলের টিমে। তেমনই মার্কাস স্টইনিসের মতো মিডিয়াম পেসার। দু-দলে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে ব্যাটিং বিভাগই। এ বারের আইপিএলে বিধ্বংসী ব্যাটিং করছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু প্রশ্ন থাকছে, তাঁকে কি ব্যাটিং অর্ডারে উপরে আনা হবে বা বলা ভালো তিনি কি ব্যাটিং অর্ডারে উপরে আসবেন? তেমনই লখনউ সুপার জায়ান্টস শিবিরে প্রশ্ন, মায়াঙ্ক যাদব বোলিং শুরু করলেও আদৌ তিনি ম্যাচ ফিট? তাঁকে চেন্নাই ম্যাচে দেখা যেতে পারে!