কলকাতা: কুইন্টন ডি’কক ছাড়া সেই অর্থে ভরসা দিতে পারছেন না কেউই। এখনও বড় রান উপহার দিতে পারেননি টিমের ক্যাপ্টেন। পর পর দুটো ম্যাচে হার। তার মধ্যে আবার কেকেআরের কাছে ইডেনে বিপর্যয়। যাবতীয় চাপ মাথায় নিয়ে আবার ফেরার ছক সাজাতে চাইছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। এই ফেরা কি সহজ হবে? আইপিএলের (IPL) দুনিয়া কিন্তু তেমনটা মনে করছেন না। মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলতে নামবে লখনউ (LSG)। হলুদ আর্মি এই মুহূর্তে দুরন্ত ফর্মে। পর পর দুটো ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবলের তিনে ধোনির টিম। লখনউ কি পারবে চেন্নাইকে (CSK) হারাতে?
লোকেশ রাহুলের টিমের বিরুদ্ধে নামার আগে একটাই চাপ সিএসকের। ধোনির চোটের হাল কী, তা নিয়ে সংশয় থাকছে। আগের ম্যাচে খোঁড়াতে খোঁড়াতে টিম বাসে উঠতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। লখনউয়ের বিরুদ্ধে তিনি নাও খেলতে পারেন। তবে টিমের খবর, আপাতত চোট অনেকটাই কম। সে ক্ষেত্রে ধোনির খেলা নিয়ে খুব একটা সংশয় নেই। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের টিমের অবশ্য আর একটা চাপ থাকছে। একেবারেই ফর্মে নেই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। শুরুটা ভালো করছেন। কিন্তু দ্রুত আউটও হয়ে যাচ্ছেন। যে কারণে চাপে পড়ে যাচ্ছে মিডল অর্ডার। ঋতুরাজ, অজিঙ্ক রাহানে, শিবম দুবেরা কিন্তু টিমকে টানছেন। রবীন্দ্র জাডেজা, মহেশ থিকসানা, পাথিরানারাও চমৎকার পারফর্ম করছেন।
চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে একটাই ভালো খবর লখনউয়ের, চোট সারিয়ে নেটে ফিরলেন মায়াঙ্ক যাদব। এ বারের আইপিএলে শুরুতেই গতির ঝড় তুলেছেন তিনি। বল হাতে আগ্রাসী বোলিং দেখে অনেকেই মায়াঙ্ককে ভারতীয় টিমে খেলানোর দাবি তুলেছেন। চোট সারিয়ে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধেই মাঠে ফিরবেন কিনা, তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। লখনউ অবশ্য একানা স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ জেতার জন্য মরিয়া। ৬ ম্যাচ খেলে তিনটেতে জিতেছে লখনউ। চেন্নাইকে হারাতে না পারলে কিন্তু চাপে পড়ে যাবে টিম। একানা স্টেডিয়ামে বল থমকে আসবে। স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাবেন। লখনউয়ের রবি বিষ্ণোই যদি ভালো পারফর্ম করতে পারেন, তা হলে অ্যাডভান্টেজে থাকবে রাহুলের টিম।