এ বারের আইপিএলে ৫০টির বেশি ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে প্লে-অফে জায়গা করে নিতে পারেনি কোনও টিমই। রাজস্থান রয়্যালস নিজেদের শেষ ম্যাচটায় জিতলে প্রথম দল হিসেবে কোয়ালিফাই করতে পারত। তাদের ঝুলিতে ১৬ পয়েন্ট থাকলেও বলতে হচ্ছে ‘কার্যত’ প্লে-অফ নিশ্চিত। পয়েন্ট টেবলে নীচের দিকে থাকা দলগুলি দুর্দান্ত ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোয় এমন পরিস্থিতি। যে কারণে, অঙ্কের বিচারে মুম্বইয়েরও সব আশা শেষ, লেখা যায় না। আজ রাতে লখনউকে হারিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সও প্লে-অফের পথে এক পা ফেলে রাখতে মরিয়া।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে লখনউয়ের বিরুদ্ধে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে অস্বস্তির ছিল। ২০২২ সালেই আইপিএলে পা রেখেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। প্রথম তিন সাক্ষাতে লখনউকে হারাতে পারেনি কেকেআর। এত দিন গম্ভীর ছিলেন লখনউ ডাগআউটে। এ মরসুমে মেন্টর হিসেবে কেকেআরে ফিরেছেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজি দু-বার ট্রফি জেতানো ক্যাপ্টেন গৌতম গম্ভীর। ইতিহাসও বদলাতে শুরু করেছে। ঘরের মাঠে লখনউকে হারিয়েছিল কেকেআর। শুধু তাই নয়, এক যুগ পর গত ম্যাচেই ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারানোর রেকর্ড গড়েছে কেকেআর।
আইপিএলের সব কটি ভেনুর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন লখনউয়ের মাঠে খেলা। এখানে চার-ছয়ের ফুলঝুরি দেখা যায় কম। বরং বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেটেই বাজিমাত করতে হয়। এই মাঠে ১৬০ স্কোর নিয়েও ডিফেন্ড করা যায়। লড়াইটা হয়তো সে কারণেই কঠিন। শুধু মাত্র ব্যাটিং নির্ভরতায় জেতা যাবে না। চাই অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। যেমনটা কেকেআর গত ম্যাচে দেখিয়েছে।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়েছিল কেকেআর। যদিও ইমপ্যাক্ট পরিবর্ত মণীশ পান্ডের সৌজন্যে দুর্দান্ত কামব্য়াক। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও মণীশ পান্ডে জুটিই বোর্ডে লড়াই করার মতো স্কোর গড়তে সাহায্য করেছিল। বাকি কৃতিত্ব বোলারদের। সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তীরা ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করছেন। গত ম্যাচে রাসেলও বোলিংয়ে অনবদ্য পারফর্ম করেছেন। তবে আলাদা করে বলতে হয় মিচেল স্টার্কের কথা। বড় ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন প্রায় ২৫ কোটির পেসার।
লখনউয়ে শুধু একটাই প্রশ্ন, পিচ কেমন হবে? টিম নিয়ে খুব বেশি চিন্তার নয়। প্রতিপক্ষকে খুব ভালো চেনেন গৌতম গম্ভীর। ঘরের মাঠে সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন, এ বার লখনউয়ের মাঠে তারই পুনরাবৃত্তির পালা।