একজন বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখেছেন, আর একজন খুব কাছ থেকে ফিরেছেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দুই ক্যাপ্টেনের স্কোর লাইন কিন্তু ৫-৫। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং রোহিত শর্মা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনি অনেক আগেই প্রাক্তনের দলে নাম লিখিয়েছেন। তবে তিনি যা কীর্তি গড়ে দিয়েছেন, তা পরবর্তী কোনও ভারতীয় অধিনায়ক পেরিয়ে যেতে পারলে…ভারতীয় ক্রিকেটে ফের রূপকথা তৈরি হবে। ২০০৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্যাপ্টেন্সিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ, ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এরপর আর আইসিসির কোনও ট্রফি জেতেনি ভারত।
রোহিত শর্মা অনেক ট্রফিই জিতেছেন দেশের হয়ে। মাল্টিনেশন টুর্নামেন্টের ট্রফিও। তবে আইসিসি ট্রফির খুব কাছ থেকে ফিরেছেন। রোহিত শর্মা। ভারতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দু-জনেই প্রাক্তন ক্যাপ্টেন। কিন্তু ট্রফিই যদি সাফল্যের মাপকাঠি হয়, দু-জনেই সমান জায়গায়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পাঁচ বারই রোহিত শর্মার নেতৃত্বে।
মুম্বইয়ের মতো পাঁচ বার আইপিএল জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংসও। পাঁচ বারই মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে। এ মরসুমে নেতৃত্বের ব্যাটন দিয়েছেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে। রোহিত শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনিরা কাগজে কলমে ক্যাপ্টেন না হলেও তাঁরা যে লিডার, বলার অপেক্ষা রাখে না। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংস। যাবতীয় স্পটলাইট কিন্তু মাহি এবং রোহিতের দিকেই। চেন্নাই সুপার কিংস এ মরসুমে সব কটি ম্যাচই জিতেছে ঘরের মাঠে। অ্যাওয়ে ম্যাচে হতাশা নিয়েই ফিরেছে।
এ বারের আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের শুরুটাও হতাশায় হয়েছিল। অ্যাওয়ে-হোম মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে হার। সেখান থেকে ঘরের মাঠেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। গত ম্যাচে তারা হারিয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। অনবদ্য বোলিং পারফরম্যান্স জসপ্রীত বুমরার। তেমনই ব্যাট হাতে নজর কেড়েছেন সূর্যকুমার যাদব। একঝাঁক চোটের কারণে চেন্নাই কিছুটা সমস্যায় পড়লেও বড় ম্যাচে যে কোনও কিছুই হতে পারে। তবে চেন্নাইয়ের মূল চ্যালেঞ্জ বুমরাকে সামলানো।