কলকাতা: আইপিএল এখন ৩০০ রানের প্রহর গুনছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ২৭৭ রান তুলে দেখিয়ে দিয়েছে, চার-ছয়ের বিস্ফোরণ নিয়মিত হলে যে কোনও বড় স্কোর খাড়া করা যায়। পাটা পিচ ব্যাটারদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠলে ৩০০ রানও তোলা যায়। আইপিএল এখন ৩০০ রানের অপেক্ষায়। আরসিবি-কেকেআর ম্যাচেই কি আসতে পারে ৩০০ রান? বেঙ্গালুরু স্টেডিয়ামে কিন্তু তেমন ঝলক দেখা যেতেই পারে। চিন্নাস্বামীর পিচ বরাবরই ব্যাটিং সহায়ক হয়। এ বারও সেই নিয়মের হেরফের হবে না। শুরুতে পেসাররা খানিকটা সাহায্য পাবেন ঠিকই, ম্যাচ যত গড়াবে, ততই দখল নেবেন ব্যাটাররা। ছোট মাঠে রানের ফোয়ারা ছুটবে। দুই টিমেই বেশ কিছু ভালো ব্যাটার রয়েছেন। যাঁরা নিজেদের দিনে সেরা। বিরাট আগের ম্যাচেই দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি করেছেন। ঘরের মাঠে তাঁকেও ছন্দে দেখা যাবে। বিশ্বকাপের টিমে অপরিহার্য হয়ে উঠতে চান তিনি। আর তাই বিরাট সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছেন। চিন্নাস্বামীতে কিন্তু বিরাটের চোখ ঝলসে দেওয়া ইনিংস এর আগে এসেছে। কেকেআরের বিরুদ্ধে টিমকে জয়ের দরজা পার করে দিতে বিরাট হবেন ফাফ দু প্লেসির টিমের সেরা বাজি।
আর কেকেআর? ইডেনে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২০০ পার করে দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। মাত্র ২৫ বলে ৬৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন। ক্যারিবিয়ান তারকা যে ছন্দে রয়েছেন, সন্দেহ নেই। আরসিবির ডেরায় তেমনই অ্যাটাকিং ব্যাটিং দেখা যেতে পারে দ্রে রাসের। তবে কেকেআরের সেরা বাজি হতে পারেন রিঙ্কু সিং। গত আইপিএল থেকে উত্থান হয়েছে তাঁর। যশ দয়ালকে এক ওভারে পাঁচটা ছয় মেরে আইপিএলের দুনিয়াকে চমকে দিয়েছিলেন। সেই দয়াল এই ম্যাচে নামবেন রিঙ্কুর মুখে। এ বারের আইপিএলের শুরুটাও রিঙ্কু ভালো করেছেন। ১৫ বলে ২৩ করেছিলেন হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। তবে এখনও রিঙ্কু-ঝলক দেখা যায়নি। চিন্নাস্বামীতে তা দেখা যেতেই পারে। ছোট মাঠ, পাটা উইকেটে খেলতে ভালোবাসেন রিঙ্কু। সেট হয়ে গেলে বেঙ্গালুরুর বোলিং নিয়ে ছেলেখেলা করবেন কেকেআরের নয়া তারকা।
এই ম্যাচে টস ফ্যাক্টর হবে। চিন্নাস্বামীতে রান তাড়া করে অনেক ম্যাচ জিতেছে আরসিবি। তবে, শুরুতে যে টিম ব্যাট করে, তারাই বাড়তি অ্যাডভান্টেজ পায়। তাই টস জিতে কেকেআর এবং আরসিবি দুই টিমই চাইবে বড় রানের বোঝা চাপিয়ে দিতে। প্রথম ম্যাচ জিতলেও কেকেআর এই মুহূর্তে চাপে রয়েছে টপ অর্ডার নিয়ে। ওপেনার ফিল সল্ট হাফসেঞ্চুরি করেছেন প্রথম ম্যাচে। কিন্তু বেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রেয়স আইয়ার, নীতীশ রানারা টিমকে ভরসা দিতে পারেননি। সুনীল নারিনকে ওপেনারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হয়েছেন। ফাফ-বিরাটদের বিরুদ্ধে কেকেআরের টিমে বদল হতে পারে। নারিনকে বসিয়ে কি রহমানউল্লাহ গুরবাজকে খেলানো হতে পারে? তাতে ব্যাটিং গভীরতা বাড়তে পারে কেকেআরের।
ফাফ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরন গ্রিনরা যে কোনও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ করে দিতে পারেন। তাই কেকেআরের গেম প্ল্যানে কিছু বদল আসবেই। আগের ম্যাচে হর্ষিত রানা, আন্দ্রে রাসেল, দুই স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারিনরা উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু প্রায় ২৫ কোটিতে কেনা মিচেল স্টার্ক৪ ওভারে ৫৩ রান খরচ করেছেন। কোনও উইকেটও পাননি। যদিও প্রথম ম্য়াচ ছিল তাঁর। দ্বিতীয় ম্যাচেও যদি ব্যর্থ হন, বেশি রান খরচ করেন, তা হলে কিন্তু প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে অস্ট্রেলিয়ান পেসারকে।